পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন গোসাবার কৃষক মান্ডির কাছে একটি মাঠে অমিত শাহের জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী চিত্ত প্রামাণিকের পাশাপাশি বাসন্তী বিধানসভার রমেশ মাঝিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মূলত এই দু’জনের হয়ে প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই মাঠ ভরে যায়। ভিড় ধরে রাখতে মঞ্চের পাশে বসানো চোঙা মাইক এবং আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমে বাজানো শুরু হয় ভোট সংক্রান্ত নানা গান। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ১০টা। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের গানের মধ্যেই হঠাৎ বেজে ওঠে... ‘কন্যাশ্রী বোনটা আমার/হচ্ছে যখন ইঞ্জিনিয়ার/যুদ্ধ সে বোন জিতেই লবে/বন্ধু এবার খেলা হবে’। নেতারা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়। মাঠময় তখন সংক্রামক হাসি। দলের তরফে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন কেউ কেউ। বেশ কিছুক্ষণ এই গান চলার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিড়ম্বনা এড়াতে ভুলবশত এই কাজ হয়েছে বলে সাফাইও দেন তাঁরা।
যে মাঠে এদিন সভা অনুষ্ঠিত হয়, সেটি আকারে বেশ ছোট। সেটিও ভরাতে দু’টি বিধানসভা থেকে লোক আনা হয়েছে বলে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। সভায় বক্তব্য শুরুর আগে শাহি মেজাজেই পাওয়া গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কেন দুই প্রার্থী পিছনে, তা নিয়ে তাঁদের অমিত শাহ প্রথমেই এক ধমক দেন। পরে অবশ্য হাসিমুখে দু’জনকে সামনে আসার আহ্বানও জানান। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে তোপ দেগেছেন তিনি। সঙ্গে দিয়েছেন গালভরা একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও। তার মধ্যে ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনকে জেলা ঘোষণা থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন, সবই ছিল। অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে গোসবায় পানীয় জলের সমস্যা দু’বছরের মধ্যে মিটিয়ে দেবে। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, গোসাবায় দ্বীপ সংযোগের জন্য ব্রিজ এবং সুন্দরবনে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ার প্রতিশ্রুতিও এদিন গোসাবার সভায় দিয়েছেন তিনি।