পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এবারের ভোটে ‘হাত’-এ এসেছে ‘কাস্তে-হাতুড়ি’। যদিও বাম-কংগ্রেসের জোট ‘পূর্ণতা’ পেয়েছে, এমনটা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। তাও সংযুক্ত মোর্চা-র তত্ত্বকে সামনে রেখে হাতে হাত ধরে লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন দুই দলের নেতারা। ভোট যে বড় বালাই! তাই তেলে-জলে মিশ খায় না, এই তত্ত্বকে আপাতত দূরে রাখাই শ্রেয় বলে মনে করছেন আলিমুদ্দিন আর বিধান ভবনের কর্তারা। এই ছবিটাই দেখা গেল বাদুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রে।
কংগ্রেসের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে আব্দুস সাত্তারের। তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া আসন থেকে। বামফ্রন্ট সরকারে মন্ত্রী ছিলেন আব্দুস সাত্তার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। এবারের বিধানসভা ভোটে যখন ‘দলবদলু’দের নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে, তখন সেই তালিকায় নিজেকে ফেলতে রাজি নন তিনি। তাঁর যুক্তি, আমি সিপিএমে থাকাকালীন অন্য দলে যোগ দিইনি। আমার অবস্থান ছিল সিপিএম-এর সদস্যপদ নবীকরণ না করা। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ঘরে বসেছিলাম। তারপর কংগ্রেসে নাম লেখাই। আর কংগ্রেস তো দীর্ঘদিন কেন্দ্র বা রাজ্যের ক্ষমতাতেই নেই। ফলে আমি কিছু পাওয়ার আশায় যাইনি।
প্রশ্ন উঠেছে, একদা সিপিএমের নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে কী এখন সাদরে গ্রহণ করবেন কমরেডরা? স্বাগত জানাবেন? উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর কথায়, আব্দুস সাত্তারকে সিপিএম অফিসে স্বাগত। তাঁর যুক্তি, তাঁকে আমরা গ্রহণ করেছি সংযুক্ত মোর্চার একজন প্রার্থী হিসেবে। এখন তাঁকে জেতানোর জন্য সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জোট রাজনীতির বাধ্যতার কারণে।
বাদুড়িয়া আসনে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে এযাবৎকালে বেশ কয়েক দফায় আলোচনা সেরে ফেলেছেন আব্দুস সাত্তার। এমনকী, বাদুড়িয়ার সিপিএমের কার্যালয়েও দিন কয়েক আগে গিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসেও যেতে প্রস্তুত রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
বাদুড়িয়া বিধানসভা আসনে ১৯৫৭ সালে জিতেছিল কংগ্রেস। তারপর ওই কেন্দ্র থেকে সাতবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কংগ্রেসের কাজি আব্দুল গফ্ফর। ২০১১ সালেও জিতেছিলেন তিনি। মাঝে সিপিএমও জিতেছে একাধিকবার। কাজি আব্দুল গফ্ফরের ছেলে কাজি আব্দুর রহিম জিতেছিলেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে। অধুনা তিনিও কংগ্রেস ছেড়ে জোড়াফুলে। প্রার্থীও হয়েছেন তৃণমূলের। রহিমের গায়ে লেগেছে ‘দলবদলু’ তকমা।
এখন দেখার কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুস সাত্তারকে জেতানোর জন্য কতটা লড়াই দেয় তাঁর প্রাক্তন দল সিপিএম।