নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অনতিদূরে ফের বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। মঙ্গলবার সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। এর জেরে এলাকায় যানজটও তৈরি হয়। তাঁদের তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মেধা তালিকায় থাকা সমস্ত প্রার্থীদের চাকরি দিতে হবে। ‘পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দাবিদাওয়া সম্বলিত ব্যানার গায়ে জড়িয়ে নিয়ে অনেকে রাস্তায় শুয়েও ছিলেন। অবশেষে পুলিস এসে ৩০ জনকে আটকও করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ভোটের আগে নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে এরকম নিয়োগ এমনিতেও করতে পারবে না সরকার। তাহলে এতদিনের পুরনো দাবি এখন তোলা হচ্ছে কেন? বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই বিক্ষোভ, রিলে অনশন, অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ২ মার্চও কালীঘাটে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। এটা যেহেতু আগের প্রতিশ্রুতি, তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে আচরণবিধি বাধা হওয়ার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে একই দাবিতে বিক্ষোভরত এই প্রার্থীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন, যোগ্যতার মাপকাঠিতে ঊত্তীর্ণ হলে তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে। তবে, মূল বিতর্ক রয়ে গিয়েছে যোগ্যতার মাপকাঠিতেই।
সরকারের দাবি, সফলদের মধ্যে প্রথমদিকের প্রার্থীরাই চাকরি পেতে পারেন। শূন্যপদের সাপেক্ষে যোগ্যতা না থাকলে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, প্রার্থীরা অবশ্য সরকারের এই দাবি মানতে রাজি হননি প্রথম থেকেই। তাঁদের বক্তব্য, মেধাতালিকায় নাম রয়েছে মানেই চাকরি দিতে হবে।