পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
১৯৯৬ সালে প্রথম বিধায়ক হয়েছি। তারপর ২০০৬ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলাম। ২০১১-তে ফের বিধায়ক হয়েছি। এবার ২০২১-তেও মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রানিবাঁধ কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছি।
রাজ্যে তৃণমূল পরিচালিত সরকার আসার পর যে উন্নয়নের কথা বলছে তা আদতে বাম আমলেও ছিল। শুধু প্রকল্পগুলির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। তবে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে শুধু কাটমানি নেওয়া হয়েছে। এমনকী ১০০ দিনের কাজের মজুরি থেকেও নেতারা কাটমানি নিয়েছে। তৃণমূল দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। তাই ওরা মানুষের কাছে যেতে পারছে না। কিন্তু আমরা মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। তাছাড়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গত ২০১৮ সালে মানুষ ভোটই দিতে পারেননি। এসবের বিরুদ্ধেই আমাদের সংযুক্ত মোর্চার লড়াই।
রানিবাঁধ সহ অন্যান্য এলাকায় কেন্দুপাতা সংগ্রহ করার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিনা পুঁজিতে সেই কাজ করত মানুষ। তাই পাতা পচে যাচ্ছে। সমবায়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বামপন্থীরা অনেক আগেই আদিবাসী মানুষের জন্য ভেবেছে। শুধু আদিবাসীই নয়, আমরা সব শ্রেণির মানুষের জন্য লড়াই করছি। আমাদের জাতি, ধর্ম আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমাদের লড়াইয়ের লক্ষ্য এক হওয়ার জন্য সংযুক্ত মোর্চার গঠন হয়েছে। বিজেপি বরং জঘন্য বিভাজনের রাজনীতি করে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করব বলছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মানুষ কেমন আছেন দেখে আসুন। গ্যাসের দাম বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। পেট্রল, ডিজেলও আকাশ ছোঁয়া। নারীদের নিরাপত্তাও সুরক্ষিত নয়। রানিবাঁধে সেচের জন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা হয়নি। রানিবাঁধের দক্ষিণ দিকে এখনও কংসাবতীর সেচের জল পৌঁছায় না। যেসব এলাকায় পৌঁছয় সেখানে আবার সঠিক সময়ে না যাওয়ায় অপচয় হয়। এইসব দিকগুলি দেখা প্রয়োজন। আসলে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। তাই আমরা লড়াই করছি। আমাদের মধ্যে কয়লা পাচার, গোরু পাচার, বালি পাচার নেই। আর সারদা, নারদাও নেই। আমরা চাই এখানকার মানুষ বাড়িতে থেকেই রোজগার করুন। তাঁরা যদি হাতে কাজে পেত তাহলে তাদের পরিযায়ী শ্রমিক হতে হত না। তৃণমূলের আমলে মানুষ সঠিক পরিষেবা পায়নি। তাই শিক্ষিত সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই আমাদের লক্ষ্য।