সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শরৎ সদনে আসার পথে ২ নম্বর রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডের একটি বস্তিতে যান। সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, ওই এলাকায় ৪০০ জন বাস করেন। কিন্তু, সেখানে মাত্র দু’টি শৌচালয়। তাঁদের অধিকাংশের রেশন কার্ড নেই। এরপরই তিনি পুরসভার কমিশনারকে বলেন, বস্তি উন্নয়নের টাকা কোথায় যাচ্ছে? কেন সেখানে পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই। খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিবকে তিনি বলেন, রেশন কার্ড নিয়ে এত সমস্যা কেন? এরপরই জেলার খাদ্য দপ্তরের অফিসারদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, বহু মানুষের রেশন কার্ড নেই। কেন এই অবস্থা হবে? রেশন কার্ড নিয়ে হয়রানি আমি পছন্দ করি না। হাওড়ায় এই নিয়ে খুব সমস্যা। তখন জেলা খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা বলেন, আমরা ক্যাম্প করে বিভিন্ন জায়গায় রেশন কার্ড বিলি করছি। কিন্তু, তাঁদের কথার প্রতিবাদ করেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক পুলক রায়। তাঁরা বলেন, কোথায় ক্যাম্প হয়েছে? আমরা জানতে পারছি না, সাধারণ মানুষ কীভাবে জানবে?
হাওড়া শহরের পানীয় জল, নিকাশি ও রাস্তাঘাটের কাজ খতিয়ে দেখতে ও সেগুলির অবস্থা মাঝে মধ্যেই পরিদর্শন করার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে নিয়মিত এলাকায় ঘুরে সেখানকার কাজের ব্যবস্থা কর। হাওড়া শহরের রাস্তা, পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থার কাজের তদারকিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে প্রধান করে ওই কমিটি ঠিক করতে পুরমন্ত্রীকে তিনি নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওলাবিবিতলায় একটি পানীয় জল প্রকল্প তৈরির কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে আছে। কেন ওটা দ্রুত হচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি কমিশনারের কাছে জানতে চান। কমিশনার বলেন, প্রকল্প শুরুর সময় রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তাই আমরা অনুমোদন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। কয়েকদিন আগে ওই অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এবার দ্রুত কাজ চালু করে দেওয়া হবে। হাওড়ার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানকার নিকাশি নিয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করতে তিনি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন। পুরমন্ত্রী বলেন, এডিবি’র কাছে এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলার নদীবাঁধগুলির কী অবস্থা তা নিয়েও তিনি সেচ দপ্তরের অফিসারদের কাছে জানতে চান। সেচ দপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, দুর্বল নদীবাঁধগুলি মেরামত করা হয়েছে। আর বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় নিম্ন দামোদর অববাহিকা অঞ্চলের কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর মাসে কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকের শেষে তিনি পুলিসকে সতর্ক করে বলেন, হাওড়ায় কী সমস্যা বাড়ছে। পুলিসকে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, হাওড়ার মধ্যেই রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্ন। এবার কাজ করবেন না, যাতে নবান্নের দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারে।