বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
শাদকে জেরা করে অসম পুলিসের এসটিএফের অফিসাররা জানতে পারছেন, তাদের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনজনই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এবিটি প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির নির্দেশমতো সকলে কাজ করছে। রহমানির নির্দেশে সে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে যায়। এরপর বাংলাদেশ থেকে নির্দেশ আসে, তার ভাই সাদ্দামকেও ‘কাজে’ লাগাতে হবে। তাকে মূলত অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে আসা হয়। ভাইকে নিয়ে চলে আসে মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ায়। মিনারুলের বাড়িতেই আশ্রয় নেয়। তার ভোটার আধার তৈরির জন্য যোগাযোগ করে আলমগীর নামে এক যুবকের সঙ্গে। অভিযোগ, ওই যুবক সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভোটার, আধার সহ নানা পরিচয়পত্র করে দিত। মিনারুলের গ্রামের ঠিকানায় শাদ ও সাদ্দামের ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি হয়। সেগুলি দিয়ে পরে পাসপোর্ট হয়েছে বলে জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। এরপর চিকিৎসার নাম করে সাদ্দামকে মুম্বই নিয়ে যায় শাদ। সেখানে এবিটি এবং জেএমবির হয়ে কাজ করা এক শীর্ষ জঙ্গিনেতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর কেরলে যায় শাদ। সেখান থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার্ তোড়জোড় শুরু করছিল শাদ। পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তিনটি আইডি খুলে জেহাদি নিয়োগের কাজও করছিল।
তদন্তে উঠে আসছে, সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসা বোনকে ‘ভারতীয়’ বানানোর জন্য মুর্শিদাবাদের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় শাদ। দুজনকে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশে। এরপর তার বোন আবার সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে আসার সময় ধরা পড়ে যায় বিএসএফের হাতে। দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিল। কিন্তু সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়। শাদের ভাই সাদ্দাম ও তার বোন ঠিক কতগুলি স্লিপার সেল তৈরি করেছে, সেই বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।