বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, হাসিনা সরকার পতনের পর লস্করের বেশ কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি এবং পাক হ্যান্ডলাররা ঘাঁটি গেড়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার সতর্ক নজর রয়েছে কাশ্মীরে। যে কারণে পাক–কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে হাওলার কারবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই রুটে অস্ত্র বা জঙ্গি গোষ্ঠীর লোকজনের যাতায়াত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি রাজস্থান ও পাঞ্জাবের পাক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র আনতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে লস্করকে। সেই কারণে তারা বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে। যাতে সহজেই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে যাওয়া যায়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগর, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবার পাঠানখালি, বসিরহাটের টাকি, পার হাসনাবাদ এলাকাকে বেছে নিয়েছে লস্কর জঙ্গিরা। এখানকার অরক্ষিত নদীপথ ব্যবহার করে অনায়াসে ঢুকে পড়া যায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে।
জেরায় কাশ্মীর পুলিসকে জাভেদ জানিয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে আসছে হাওলার মাধ্যমে টাকা আসছে। একইসঙ্গে তদন্তকারীরা জেনেছেন, হাওলা করে আসা টাকা কাশ্মীরে পাঠানোর জন্য সীমান্ত সংলগ্ন বেশ কয়েকজন যুবকের মগজধোলাই করে তাদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলে জাভেদ। এহেন ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। জাভেদ জেরায় জানিয়েছে, সুন্দরবন লাগোয়া জলপথ পেরিয়ে এর আগেও বাংলাদেশে গিয়েছে। দেখা করেছে লস্করের মাথাদের সঙ্গে। তার শ্যালক তথা ক্যানিংয়ের শাল ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, তা জানতে তথ্য বিশ্লেষণ করছেন তদন্তকারীরা।