বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, অকৃতকার্য পড়ুয়াকে পড়াশোনায় বিশেষ সহায়তা করবেন সংশ্লিষ্ট শ্রেণি-শিক্ষক। খামতি চিহ্নিত করে তা দূর করতে সাহায্য করবেন তিনি। প্রয়োজনে পরামর্শ দেবেন অভিভাবককে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে দু’মাস পর পুনর্মূল্যায়নে পাশ না করতে পারলে উঁচু ক্লাসে তোলা হবে না। কোনও পড়ুয়া অকৃতকার্য হলে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশিকাটি ছিল কিছুটা আলাদা। সেখানে প্রথম দু’টি সামেটিভ মূল্যায়নে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করে স্পেশাল ক্লাসের কথা বলা হয়েছিল। তারপরও কেউ তৃতীয় সামেটিভে অকৃতকার্য হলে পুনর্মূল্যায়নের কথা বলা হয়। তাতেও ফেল করলে পুরনো ক্লাসেই রেখে দেওয়ার নির্দেশ ছিল।
শিক্ষামন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত তিন হাজারের বেশি স্কুলে চালু হতে চলেছে এই নিয়ম। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক স্কুলগুলি নয়া নিয়মের আওতায় থাকছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ‘শিক্ষার অধিকার’ আইনের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন মহল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। ২০১৯ সালে ‘শিক্ষার অধিকার’ আইনে পাশ-ফেল সংক্রান্ত ধারা সংশোধন করা হয়। এর ফলে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার অধিকার পায় রাজ্যগুলি। কিন্তু তার পরেই শুরু হয় কোভিড। কয়েক বছরের জন্য স্কুলস্তরে তো বটেই, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তর থেকেও উঠে যায় পাশ-ফেল প্রথা।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দিল্লি সহ ১৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল ফিরিয়ে এনেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। যদিও কার্যক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ কোনও রাজ্যেই এই দুই শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালু নেই। তাই শিক্ষামন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্কুলগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মটি চালুর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে পাশ-ফেল চালু নিয়ে ব্রাত্যবাবুর সরাসরি কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে যেভাবে পুরনো বিজ্ঞপ্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তা পাশ-ফেল পুনরায় চালুর ইঙ্গিত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।