বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
সিআরএস এবং জেএমটি পোর্টাল অনুযায়ী, শেষ আর্থিক বছরের হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় পুত্রের অনুপাতে কন্যা জন্মের হার মারাত্মক কম। জেলা তিনটি হল বাঁকুড়া (৯৩১), ঝাড়গ্রাম (৯২৮) এবং পুরুলিয়া (৯১৫)। কিন্তু প্রগতিশীল কলকাতা এবং লাগোয়া দুই জেলার অবস্থাও যে খুব ভালো নয়। ‘বাংলার রাজধানী’ শহরের জন্মকালে পুরুষ-নারী অনুপাত ১০০০:৯৪২। সেখানে লাগোয়া দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় এই পরিসংখ্যান হল ৯৩৯ এবং ৯৪৯।
পুত্রের তুলনায় উদ্বেগজনক সংখ্যায় কন্যাজন্ম হচ্ছে যে ১৩টি জেলায়, সেগুলি হল বাঁকুড়া, বীরভূম, দার্জিলিং, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, মালমহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্যভবনের সাম্প্রতিক হিসেবে এই ১৩ জেলার পরিস্থিতি বোঝাতে ‘লাল’ সঙ্কেত ব্যবহার করা হয়েছে। আর সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি ১ হাজার পুত্রসন্তান প্রসবের তুলনায় কন্যাসন্তান জন্মের সংখ্যা ৯৪৬। তাও সাড়ে ন’শোর কমই। বায়োলজিক্যাল বা ‘ন্যাচারাল সেক্স রেসিও’ ৯৫২ কম তো বটেই।
কিন্তু, কেন এমন পরিস্থিতি? গোপনে গোপনে কি কন্যাভ্রূণ নির্ধারণ এবং ভ্রূণহত্যা চলছে? স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, আমাদের মতে, এর কারণ অন্তত তিনটি। প্রথমত, আমরা লক্ষ্য করেছি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জঙ্গলমহলের যে ক’টি জেলায় কন্যাসন্তান জন্মের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম, সেগুলির সবক’টিই সীমান্তবর্তী জেলা। কোনওটার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ডের, কোনওটার সঙ্গে ওড়িশার। আমাদের আশঙ্কা, ওইসব রাজ্যে গিয়ে ভুঁইফোড় ক্লিনিকে লিঙ্গ নির্ধারণ করিয়ে আনছে বেশ কিছু দম্পতি। দুই, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানের মতো তথাকথিত প্রগতিশীল কয়েকটি জেলায় এই হার কম হওয়ার একটি কারণ, আমাদের ধারণা, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন লিঙ্গ নির্ধারণ কিটের ব্যবহার। তৃতীয়ত, ভ্রণের জন্মগত ত্রুটি নির্ণয় করার জন্য বর্তমানে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৪০টি জেনেটিক ল্যাব এবং নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রগুলি বাংলার নমুনাগুলি আবার পাঠায় মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে। সেগুলি ১০০ শতাংশ নিয়ম মেনেই কাজ করছে, এতটা নিশ্চিত নই আমরা। মোটা কথা, বেশ কিছু ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ তো আছেই। রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক ডাঃ অসীম দাস মালাকার বলেন, আমরা প্রচার করছি। পিসিপিএনডিটি আইন মোতাবেক কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।