দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬ নম্বর মণ্ডলের লাট এলাকার বাসিন্দা গণেশ হালদারের ছ’ছেলে। ছয় ছেলের মধ্যে হরিপদ হালদারের সঙ্গে তাঁর দাদা লক্ষীন্দর হালদারের বাস্তুবাড়ি সহ রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। যা নিয়ে মামলাও রয়েছে। হরিপদ হালদারের ভাইপো জগদীশ হালদার বলেন, ঘরের রাস্তার জন্য সাড়ে ৫ ফুট রাস্তা চাইছিল কাকা হরিপদ। কিন্তু জেঠু লক্ষীন্দর সাড়ে ৩ ফুটের বেশি রাস্তা দিতে চাইছিল না। যা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিবাদ। এই বিবাদের মধ্যে শনিবার সকালে দুই পরিবারকেই কুলতলি থানায় ডাকা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, থানায় যাওয়ার জন্য হরিপদ হালদার ঘরে তৈরি হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই লক্ষীন্দরের ছেলে বাদল হালদার গালিগালাজ করতে করতে তাঁর ঘরে ঢুকে আসে এবং হামলা চালায়। হরিপদবাবু কিছু বলার আগে তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাদল। জগদীশ হালদার বলেন, কাকা বেহুঁশ হয়ে যেতেই তাঁর পিঠে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় বাদল। আমার বাবা কানাই হালদার বাধা দিতে এলে বাবার মুখে, মাথায় রড দিয়ে মারে বাদল। এরপরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রক্তাক্ত অবস্থান কাকা হরিপদকে উদ্ধার করে প্রথমে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান হরিপদ হালদার।
জগদীশ হালদার সহ পরিবারের লোকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত বাদল হালদার তৃনমূলের এক নেতার নিরাপত্তা রক্ষীর কাজে যুক্ত। তার কাছে সর্বদা আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। কুলতলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মাঝি বলেন, আহত কানাই হালদার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ৩৬ নম্বর মণ্ডলের লাট এলাকার। বারুইপুর থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে এক ঘন্টার মধ্যে কুলতলি থানার পুলিস মুল অভিযুক্ত ভাইপো বাদল হালদার এবং তার বাবা লক্ষীন্দর হালদার সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।