দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
তাঁর বাড়ির লোকজন ও সহকর্মীদের অভিযোগ, শুক্রবার অপারেশন করে চোখটি বাদ দেওয়ার পাশাপাশি ডান চোখে ঢুকে যাওয়া পেরেকের টুকরো বের করে আনা হয়। এতদিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাহলে কী করছিলেন? পেরেক বের করতে পাঁচদিন লাগল? দ্বিতীয়ত, বিষয়টি গুরুতর জানা সত্ত্বেও প্রথম থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা ওই যুবককে দেখে গিয়েছেন। কোনও বড় ডাক্তারবাবু দেখতে আসেননি। ভোলানাথ মণ্ডল সহ তাঁর সহকর্মীদের দাবি, সরকারি ইনস্টিটিউটের ‘গাফিলতি’তে যখন ঘটনাটি ঘটেছে, ওই যুবককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ বা সরকারি চাকরি দেওয়া হোক। পাশাপাশি ডান চোখের গর্ত হয়ে যাওয়া অংশ ভরাট করতে কোনও পাথরের চোখের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ আকারে আরআইও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বাড়ির লোকজন। এদিন এই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছেন আরআইও অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ। তিনদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওই কর্মীর বাড়ির লোকজন ও সহকর্মীদের বক্তব্য, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ছাপাখানায় কাজ করতে গিয়ে রাজার ডান চোখে পেরেক ঢুকে যায়। দ্রুত তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরস্থিত আরআইওতে আনা হয়। সেখানে ভর্তি করে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অপারেশন করে সেলাই করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে দিন যত এগিয়েছে, রাজার শারীরিক অবস্থার ততই অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, পেরেকের টুকরো গেঁথে যাওয়ার জন্য তাঁর ডান চোখে সংক্রমণ হয়েছে। অবিলম্বে অপারেশন না করলে বাম চোখটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারপরই শুক্রবার অপারেশন করে ডান চোখ বাদ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শনিবার আরআইও অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ভর্তির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত সব চিকিৎসাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ও নিয়ম মেনে করা হয়েছে। যাই হোক, অভিযোগ যখন পেয়েছি, তদন্ত হবে। চাকরি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের বরং বক্তব্য, আই প্রোটেক্টর গ্লাস ব্যবহার না করে কেন ওই কর্মী কাজ করছিলেন?