দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা আন্তঃদেশীয় তক্ষক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এই রাজ্যে যেমন তক্ষক আনত, তেমন এই রাজ্য থেকে বাংলাদেশে তক্ষক পাঠাত। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বারাসত সহ উত্তর ২৪পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও তক্ষক পাচারের কারবার রমরমিয়ে চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকরা ধৃতদের সঙ্গে ক্রেতা হিসেবে যোগাযোগ করেন। এরপর ছক কষেই ক্রেতার দলে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল, সিআইডি ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা ভিড়ে যান। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সময় ও স্থান অনুযায়ী আধিকারিকরা দত্তপুকুরের রঘুনাথপুরে হাজির হন। এরপর তক্ষক বিক্রি করতে আসা আবদ্দুলা ও সহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চোরাই চক্রে আরও অনেকে জড়িত। যারা বিভিন্ন জেলা থেকে চোরা পথে তক্ষক সংগ্রহ করে ধৃতদের কাছে পাঠাত। এরপর ওই তক্ষক বিভিন্ন ভাবে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া হত। আবার সীমান্তের ওপার থেকে তক্ষক সহ অন্যান্য জীবজন্তু নিয়ে আসত।
বনদপ্তরের বারাসত মহকুমার রেঞ্জ অফিসার সুকুমার দাস বলেন, দত্তপুকুর থেকে তক্ষক চোরাচালানে যুক্ত দুই চোরা কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি তক্ষক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতরাই জানিয়েছে, তিনটি তক্ষকের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।