সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, সিংহভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাছে খবর আসার আগেই এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে। এই কর্মীরা থাকলে জ্বরের প্রকোপ উপদ্রুত কোন এলাকায় ছড়াচ্ছে তা আরও সঠিকভাবে জানার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হবে। জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী বলেন, ওই কর্মীরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সমস্ত ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। সর্বস্তরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ আগস্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব জেলাশাসক সহ অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, হাবড়া ১ ও ২, গাইঘাটা ও বারাকপুর ২ ব্লকে ডেঙ্গুর আক্রমণ বাড়ার খবর এসেছে। জেলাশাসক এইসব ব্লকে বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ করার জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন। এইসব অতিরিক্ত কর্মীদের পারিশ্রমিক বাবদ ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজনের কথা জানিয়েছিল। প্রস্তাবমতো ওই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে হাবড়া ১ ব্লকের জন্য ৯ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় মোট ১০৩ জন কর্মীকে সার্ভের কাজে লাগানো হবে। এছাড়া হাবড়া ২ ব্লকে ৮৩ জন কর্মীর জন্য ৭ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা, গাইঘাটা ব্লকে ২০৮ জন কর্মীর জন্য ১৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ও বারাকপুর ২ ব্লকে ৫৬ জন কর্মীর জন্য ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এইসব কর্মীদের আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কাজে লাগানো হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে জেলার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর অর্থ বরাদ্দ করেছিল।
হাবড়া ও অশোকনগর এলাকায় অজানা জ্বর ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেগঙ্গা এলাকায় গত আট দিনে এক শিশু সহ মোট পাঁচ জন অজানা জ্বর ও ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছেন। গাইঘাটা এলাকাতেও নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্লাস্টিক বন্ধ করা, মশারি বিলি সহ নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিংহভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসনের কর্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজির হচ্ছেন। আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আগে থেকে এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও মানুষকে সচেতন করার কাজ হলে ডেঙ্গু এত ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত না।
যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, ডেঙ্গু ছড়ানোর আগাম খবর নেওয়ার জন্য উপদ্রুত চারটি ব্লকে নতুন করে এতজন কর্মী নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। যারা ব্লকের প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়বেন। প্রতিটি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ, সচেতনতা ও জল জমা থাকলে তা ফেলে দেবেন। এরফলে এলাকার একেবারে সঠিক তথ্য আগেভাগেই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে আসবে।