Bartaman Patrika
 

থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
সাংবাদিক সম্মেলন করে অবসর
নিয়েছিলেন অভিনয় জীবন থেকে

বড়পর্দা জুড়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করলেও, পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল দেরিতে। অভিনেতা বিকাশ রায়ের মঞ্চাভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন ড. শঙ্কর ঘোষ।

মঞ্চের বিশাল পর্দা সরছে। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন ফোকলা চ্যাটার্জি। আলো এসে পড়েছে ফোকলা চ্যাটার্জির মুখে। আবছা আলোতে মঞ্চটাও দেখা যাচ্ছে। শাজাহান হোটেলের রিসেপশন কাউন্টার ডানদিকে। বাঁদিকে রয়েছে লিফট। ফোকলা চ্যাটার্জি উচ্চস্বরে জিজ্ঞাসা করলেন; ‘স্যাটা হোয়্যারইজ স্যাটা’। আলো এসে পড়ত গেটের দিকে। পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতেন স্যাটা বোস। বললেন; ‘আই অ্যাম হিয়ার স্যার।’ সবাই অর্থাৎ দর্শকেরা পেছনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখতেন স্যাটা বোসের প্রবেশ। স্যাটা বোস ততক্ষণে একস্ট্রা সিটের দর্শকের গা ঘেঁষে, কারও বা পিঠ চাপাড়িয়ে ‘হাউ আর ইউ স্যার’ বলে স্টেজে এসে উঠতেন। উচ্ছ্বসিত হাততালিতে হল ফেটে পড়ত। যে নাটকের শুরুতেই এমন উত্তেজনার পারদ, সেই নাটকের নাম ‘চৌরঙ্গী’। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার সর্বকালীন বেস্ট সেলার উপন্যাস শংকরের ‘চৌরঙ্গী’। তারই নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হচ্ছে বিশ্বরূপা থিয়েটারে (বটতলা থানার ঠিক পাশেই এ মঞ্চ ছিল)। এই নাটকেই প্রথম সাড়ম্বরে বিকাশ রায় অভিনয় করতে এলেন স্যাটা বোসের চরিত্রে। পাশে পেলেন তরুণকুমার (ফোকলা চ্যাটার্জি), মঞ্জু দে (মিসেস পাকড়াশি) দিলীপ রায় (শংকর), সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় (ন্যাটাহরি), জয়শ্রী সেন প্রমুখ শিল্পীকে। পরে কবরী চরিত্রে এলেন আরতি ভট্টাচার্য। বিপরীতে অজয় গঙ্গোপাধ্যায় (অনিন্দ্য)। প্রথমে যখন এ নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় বিকাশ রায়ের সঙ্গে, তখন তিনি সম্মত হননি। কারণ যে চরিত্র উত্তমকুমার করে রেখে গেছেন বড় পর্দায়, সে চরিত্রে স্টেজে করতে মন থেকে সায় পাচ্ছিলেন না বিকাশ রায়। কিন্তু বিশ্বরূপার মালিক রাসবিহারী সরকারও নাছোড়বান্দা। তিনি গেলেন বিকাশ রায়ের ঢাকুরিয়ার বাড়িতে। পার্ট শোনালেন। যথোচিত মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেন। আর আপত্তি রইল না বিকাশ রায়ের। সামান্য ক’দিনের রিহার্সাল হল। এর আগে বিশ্বরূপায় ‘বেগম মেরী বিশ্বাস’ বা ‘ঘর’ একদম জমেনি। ‘কোথায় পাবো তারে’ একদম চলেনি। তাই সকলের উৎকণ্ঠা। ‘চৌরঙ্গী’ জমবে তো? পুজোর ঠিক আগেই শুরু হল ‘চৌরঙ্গী’ নাটক। প্রথম থেকেই হাউসফুল। সিনেমার এতগুলি শিল্পীকে চোখের সামনে দেখার আনন্দই তো আলাদা। প্রথম ক’দিন বিকাশবাবু খুব ঘাবড়ে ছিলেন, কণ্ঠস্বর যেন শেষের দিকে ঠিক পৌঁছচ্ছে না। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিলেন, ‘হোটেলের কাউন্টার অংশ থেকে বেরিয়ে আসুন দাদা, কণ্ঠস্বরের আর অসুবিধা হবে না।’ তরুণ কুমার রাসবিহারী সরকারকে পরামর্শ দিলেন, ‘বিকাশদা প্রথম স্টেজে নামছেন। ওঁর প্রথম প্রবেশ দর্শকদের মধ্যে দিয়ে হোক।’ গোড়াতে যে দৃশ্যের বর্ণনা করলাম, সেই ভাবেই বিকাশ রায়ের প্রবেশ ঘটলও স্টেজে। নগদ বিদায়ও পেতেন দর্শকদের কাছ থেকে। ভালো লাগলে উচ্ছ্বসিত আবার যদি কোনওদিন পছন্দ মতো না হতো তাহলে ধমকও খেতেন দর্শকদের কাছ থেকে, ‘কী হচ্ছে কী?’ ১৯৭১ সালের শেষে এবং ১৯৭২ সালের গোড়ার দিকে সবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, বড় বড় গাড়ি করে, এমনকী বাস ভরে বাংলাদেশিরা আসতেন যশোর সীমান্ত পেরিয়ে নাটক দেখতে—পুরনো আমলের শিল্পীদের দেখতে। ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে বিকাশ রায়ের খুবই ভালো লাগত।
হঠাৎ একদিন বিশ্বরূপার কর্ণধার রাসবিহারী সরকার ঘোষণা করলেন যে তিনি এবার নাটক বদলাবেন। বিকাশ রায় সহ সব শিল্পীরা হতবাক। তখন রমরমিয়ে চলছে ‘চৌরঙ্গী’। সেই অবস্থায় উঠিয়ে দেবার মানে বুঝতে পারলেন না কেউ। রাসবিহারীবাবু জানালেন চলতি নাটক উঠিয়ে দেবারও প্রয়োজন হয়, এছাড়া উনি একটা নজির স্থাপন করতে চাইছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচশো রজনী চলল ‘চৌরঙ্গী’। নতুন নাটকের মহড়া শুরু হল। এবারের উপন্যাস ‘আসামী হাজির।’ বিমল মিত্রের সাড়া জাগানো কাহিনী। যথারীতি নাট্যরূপ ও নির্দেশনার রাসবিহারী সরকার। বিকাশ রায় রইলেন। মঞ্জু দে, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় গোড়া থেকেই বাদ। তরুণ কুমার, দিলীপ রায়, আরতি ভট্টাচার্য রইলেন। নতুন ঢুকলেন পাহাড়ি সান্যাল। প্রায় আটষট্টি বছর বয়সে স্টেজে অভিনয় করতে নামলেন পাহাড়ি সান্যাল। তিন বুড়ো (বিকাশ রায়, পাহাড়ি সান্যাল, রবীন মজুমদার) উইংস-এর পাশের বড় বেঞ্চে বসে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। খোশ গল্প চলত। ভালোই চলছিল। হঠাৎ পাহাড়ি সান্যাল মারা গেলেন। আনন্দের হাট ভাঙল বিকাশ রায়ের। এ নাটক চলেছিল ৬৩৭ রজনী। সেই অবস্থায় নাটক বন্ধ করলেন রাসবিহারী সরকার। তখনও বিশ্বরূপার বাইরে ৭ টাকার টিকিট ১৫ টাকায় ব্ল্যাকে বিক্রি হচ্ছিল।
বিকাশ রায় এরপরে এলেন শ্যামাপ্রসাদ মঞ্চে। অধিকাংশ নাট্যমোদীরা এ মঞ্চের নামই হয়তো শোনেননি। বিকাশ রায় নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন, ‘টালাপুলের পশ্চিম দিকে বস্তিটস্তির মধ্যে বিচ্ছিরি রাস্তা, রেল ইয়ার্ড, কাঁচা কয়লার ধোঁয়া, সন্ধ্যার পর যেতে গা ছমছম করে, বৃষ্টিতে রাস্তা তো ডুবে যায়ই হলের মধ্যেও জল ঢোকে। ছোট্ট একটি হল— রেলওয়ে ইনস্টিটিউট। শ’আড়াই লোককে কষ্টে বসানো যায়।’ এমন এক স্টেজে বিকাশ রায় করতে এলেন ‘বিষ’ নাটক। নাট্যকার সমর মুখার্জির লেখা নাটক, তাঁরই পরিচালনা। সঙ্গে অভিনয়ে ছিলেন মলিনা দেবী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, অঞ্জনা ভৌমিক। ১৬০ রজনীর পর বিকাশ রায় নিজেই বিদায় নিলেন।
তরুণকুমার ও সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর ভালো সম্পর্ক বিকাশ রায়ের। ‘চৌরঙ্গী’র সময়েই তাঁরা বিকাশবাবুকে বলেছিলেন, ‘আপনার কাছ থেকে আলাদা থাকতে ইচ্ছে করছে না দাদা। যদি সুযোগ পাই আপনাকে ডাকব, কথা দিন আসবেন।’ সে কথা বিকাশ রায় রেখেছিলেন। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণকুমার দক্ষিণ কলকাতার সদানন্দ রোডে তপন থিয়েটার ভাড়া নিয়ে শুরু করলেন ‘নহবৎ’ নাটক। সে নাটক রঙমহলে জমল না, সে নাটক তপন থিয়েটারে এ ইতিহাস তৈরি করল। এঁরা তিনজন ছাড়াও ছিলেন রত্ন ঘোষাল, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় আর কিছুদিনের জন্য মহুয়া রায়চৌধুরী।
তবে এ সব অভিনয় নিয়মিত করতে করতে বিকাশ রায়ের আর ভালো লাগল না। বেরিয়ে এলেন নিজেই ‘নহবৎ’ ছেড়ে। কিছুদিন শ্রুতিনাটক পরিচালনা করলেন। তার মধ্যে একটি হল রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’। অমিতের চরিত্রে নিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে, লাবণ্যের ভূমিকায় লিলি চক্রবর্তী, কেটির চরিত্রে শ্রাবন্তী মজুমদার আর যোগমায়ার চরিত্রে নীলিমা দাস। এখানে তিনি নির্দেশক। নাট্যরূপ তাঁরই দেওয়া। প্রথম মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্র সদনে। তারপর বহু জায়গায়। এর অডিও ক্যাসেটও বেরিয়েছে এইচ.এম.ভি’র তরফ থেকে।
পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে আসার আগে নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে কম্বিনেশন নাটকে অংশ নিয়েছিলেন বিকাশ রায়। রঙমহল থিয়েটারে ‘পথের দাবী’ নাটকে অপূর্ব’র চরিত্রে। তাবড় তাবড় শিল্পী। ছবি বিশ্বাস, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কমল মিত্র, ধীরাজ ভট্টাচার্য, হরিধন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ধীরাজ ভট্টাচার্য তলওয়ারকার-এর চরিত্রে। হরিধনবাবু তেওয়ারির চরিত্রে। ধীরাজবাবু লাইটসম্যানকে বলে রেখেছিলেন যে, দৃশ্যে সমস্ত আলোর ফোকাস যেন তাঁর মুখের উপরেই থাকে। লাইটসম্যান তাই করলেন, বিকাশবাবু ও হরিধনবাবু আছেন ফোকাসের বাইরে। দেখা গেল দর্শকেরা হাসতে শুরু করেছেন। ক্রমশ হাসিটা বাড়ছে। অল্প আলোতে বিকাশবাবু দেখলেন হরিধনবাবু নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে গঙ্গাজল ছেটাচ্ছেন। সিনের বারোটা বেজে গেছে। ছবি বিশ্বাসের কাছে ধীরাজবাবু নালিশ জানালেন। ছবি বিশ্বাসের গম্ভীর মুখ, তিনি বিচারক। তিনি হরিধনবাবুর কৈফিয়ত চাইলেন। হরিধনবাবু বললেন, ‘আমি তো ধীরাজবাবুর ফোকাসের বাইরে ছিলাম। আর আমার চরিত্রের যা করা উচিত তাই তো করব।’ ছবিবাবু বললেন, ‘ঠিক। তবে হরিধন, এবার থেকে আর অতটা জল ছিটিও না।’ ধন্যি ধন্যি পড়ে গেল ছবি বিশ্বাসের এই বিচারে।
একবার ‘বিষ’ নাটকের অভিনয় করতে কলকাতার বাইরে গেছেন বিকাশবাবুরা। পেল্লায় বড় প্যান্ডেল পনের হাজার লোক বসার মতো। তারই পিছনে এক প্রাইমারি স্কুলের বাড়ি নেওয়া হয়েছিল শিল্পীদের জন্য। দুপুরে একটু বিশ্রাম করবেন। হঠাৎ একদঙ্গল মেয়ে এসে হাজির সেখানে। বিরক্ত হয়ে বিকাশবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার? তোমরা কারা?’ একটি মেয়ে এসে বললে, ‘আমি বাংলার টিচার আর এরা সব ছাত্রী। শুনেছি আপনারা, বড় বড় আর্টিস্টরা মফঃসস্‌঩লে প্লে করতে এসে খুব ফাঁকি দেন। আপনাদের এই নাটক কলকাতায় আমি দেখে এসেছি। বাদটাদ দেবেন না যেন। আমরা সামনেই থাকব।’ ঘুম মাথায় উঠল। পার্ট মুখস্থ করতে বসে গেলেন বিকাশ রায়। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বন্ধুদের ডেকে অভিনয় জীবনের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন ১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল।
ঋণ: ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’: বিকাশ রায়, করুণা প্রকাশনী।
04th  January, 2020
গল্পই মূল চালিকাশক্তি
প্রস্তর যুগ

মফসস্‌লের স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক রবিকান্ত চৌধুরী তাঁর শিক্ষক রথীনবাবুর প্রেরণায় শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। রথীনবাবুর একটি কথা তার মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে থাকে, ‘একটি প্রদীপ শত প্রদীপকে প্রজ্বলিত করে।’
বিশদ

18th  January, 2020
কথায় গানে সময়ের প্রতিচ্ছবি 

বাদল সরকারের ‘ভুল রাস্তা’ নাটকটি পুনর্নির্মাণ করে ‘রাজ কাহানী’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করল আসানসোলের চর্যাপদ। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত এই নাটকটি সম্প্রতি মিনার্ভা থিয়েটারে পরিবেশিত হল। ১৯৮৮ সালে বাদল সরকার এই নাটকটি লিখেছিলেন।  বিশদ

11th  January, 2020
উদীয়মান নারীর মঞ্চ ২০১৯ 

সম্প্রতি গোবরডাঙায় হয়ে গেল মানিকতলা দলছুট আয়োজিত নাট্যোৎসব ‘উদীয়মান নারীর মঞ্চ’। ‘দলছুট’, এই শব্দটির মধ্যে লেগে রয়েছে অদ্ভুত এক প্রতিষ্ঠান বিরোধী গন্ধ। আর দলের তরফেও লেখা হয়, ‘...থিয়েটারকে অভিজাত শ্রেণীর দখলদারি থেকে মুক্ত করে সর্বজনীন করার লক্ষ্যে মানিকতলা দলছুটের জন্ম...।’  বিশদ

11th  January, 2020
দেবতা না‌ই ঘরে... 

আচ্ছা দেবতার বাস কোথায়? মন্দিরে কি? যেখানে ফুল, ফল, দুধ, ভোগ্য সামগ্রী দিয়ে মহা সমারোহে, আড়ম্বরে পুজোর নাম দিয়ে প্রচুর অর্থব্যয়ে রাজসূয় যজ্ঞ হয় প্রতিদিন, সেইখানে? নাকি সেই বাচ্চাটা, যার দুটো হাত নেই, মন্দিরে আসে ভোগ-প্রসাদের আশায়, তার মধ্যে?  বিশদ

11th  January, 2020
কথায় গানে সময়ের প্রতিচ্ছবি
রাজকাহিনী

বাদল সরকারের ‘ভুল রাস্তা’ নাটকটি পুনর্নির্মাণ করে ‘রাজকাহিনী’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করল আসানসোলের চর্যাপদ। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত এই নাটকটি সম্প্রতি মিনার্ভা থিয়েটারে পরিবেশিত হল। ১৯৮৮ সালে বাদল সরকার এই নাটকটি লিখেছিলেন। তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
বিশদ

04th  January, 2020
 অঙ্গন নাট্য সংস্থার পরিযায়ী

 সম্প্রতি অঙ্গন নাট্য সংস্থার নিবেদনে শিশিরমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল এক সুন্দর আলেখ্য ‘প্রাণের পরে’। সঙ্গীত ও ভাষ্যপাঠের মাধ্যমে সাত্যকি সরকারের ভাবনা ও পরিকল্পনায় এই আলেখ্যটিতে প্রাণসঞ্চার করেছেন শিল্পীরা।
বিশদ

04th  January, 2020
বিরহ বড় ভালো লাগে
প্রসঙ্গ: দেবদাস

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস নিয়ে ঠিক ক’টা সিনেমা হয়েছে? একটা আনুমানিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে কমপক্ষে ১৬টা। তারমধ্যে চারটি হয়েছে ভারতের বাইরে। দুটি পাকিস্তানে, দুটি বাংলাদেশে। সঠিক হিসেবে এর থেকে বেশি সংখ্যকও হতে পারে।  
বিশদ

28th  December, 2019
মতিলাল পাদরি 

কমলকুমার মজুমদারের সাহিত্য নিয়ে চলচিত্র হলেও বাংলা রঙ্গমঞ্চে কোনও কাজ হয়েছে কি? জানা যায় না। তবে এবার কলকাতার নাট্যপ্রেমীদের জন্য এই দুরূহ কাজটি করেছেন মাঙ্গলিক ও তার পরিচালক সমীর বিশ্বাস। 
বিশদ

28th  December, 2019
পদাবলির বর্ষপূর্তি 

যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমির ৪১তম বর্ষপূর্তি এবং খালেদ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পদাবলি তাদের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে তিন দিনের এক উৎসবের আয়োজন করে। অত্যন্ত শৈল্পিক কায়দায় সাজানো অনুষ্ঠানের প্রতিদিনই ছিল আকর্ষণীয় কিছু উপস্থাপনা। প্রথমদিনে সুরজিত দাশগুপ্তের নির্মিত ‘আ সাইলেন্ট আর্ট’ তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়। 
বিশদ

28th  December, 2019
রাঙামাটি উৎসব 

চন্দননগর রাঙামাটির আয়োজনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে শুরু হচ্ছে রাঙামাটি উৎসব নামে একটি নাটকের মেলা। চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। 
বিশদ

28th  December, 2019
এক বুক বিষ 

বৃদ্ধ অজিত সামন্ত। বুকে ক্যানসার। ভর্তি রয়েছেন ক্যানসার হাসপাতালের ১৪ নম্বর কেবিনে। যৌবনেই স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন। দুই মাতৃহারা পুত্রকে বুক দিয়ে আগলে মানুষ করেছেন। পুত্ররা আজ বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। বাবার অসুস্থতার সংবাদ শুনে তারা ছুটে আসে বাবাকে আমেরিকা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধ। 
বিশদ

21st  December, 2019
যুব রঙ্গ উৎসব 

শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রঙ্গালয়ে শুরু হয়ে গেছে নাট্যোৎসব। গোটা সপ্তাহ জুড়ে, বা সাপ্তাহান্তিক। সম্প্রতি ‘মুক্তাঙ্গন’ রঙ্গালয়ে তিনদিন ব্যাপী নাট্যোৎসব ‘যুব রঙ্গ উৎসব -২০১৯’ পালিত হল। আয়োজনে ‘দমদম শব্দমুগ্ধ’ নাট্যকেন্দ্র। এই বছর (২০৯১) থেকে শুরু হল এই নাটকের উৎসব। এত উৎসবের মাঝে আবারও এক নাট্য উৎসব কেন?  
বিশদ

21st  December, 2019
পুরোপুরি না হলেও, প্রত্যাশা পূরণ হল 

গেমপ্ল্যান নিবেদিত, চন্দ্রা দস্তিদার লিখিত, খেয়ালী দস্তিদার পুনর্লিখিত ও পরিচালিত নাটক ‘প্রত্যাশা’ প্রথমবার মঞ্চস্থ হল জি ডি বিড়লা সভাঘরে, গত ২৩ নভেম্বরের সন্ধ্যায়। এই নাটকটি প্রয়াত চন্দ্রা দস্তিদার লিখেছিলেন ১৯৮৯ সালে, যে নাটক তাঁকে এনে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির শ্রেষ্ঠ নাটকের পুরস্কার।  
বিশদ

21st  December, 2019
তাঁর মতো মানুষ দুর্লভ 

নান্দীকারের সম্পাদক থাকাকালীন সুযোগ হয়েছিল ডাঃ শ্রীরাম লাগুর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। একবার নয়, বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে দু’ একটি ঘটনা রঙ্গভূমির পাঠকদের জন্য লিখলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য। 
বিশদ

21st  December, 2019

Pages: 12345

একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, তৃতীয় ধাপে পৌঁছয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন একমাত্র পথ, তা কোনওভাবেই শিথিল করা যাবে না। মানুষের বাড়িতে থাকা প্রয়োজন।   ...

ওয়াশিংটন, ১ এপ্রিল (পিটিআই): করোনার ভয়ে কাঁপছে গোটা মার্কিন মুলুক। যার প্রভাব পড়তে চলেছে মার্কিন অর্থনীতি থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর এইচ-১বি ভিসা বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন করল মার্কিন তথ্য ও প্রযুক্তি ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বুধবার দিল্লি থেকে হরিরামপুরে ফিরলেন চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের হাড়িপুকর এলাকার বাসিন্দা। ভিনরাজ্যে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।   ...

নয়াদিল্লি ও নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১ এপ্রিল: করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় যৌথভাবে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা জানাল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো লিমিটেড, উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং সংস্থার কর্ণধারের নামাঙ্কিত আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM