কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মূল নাটকে ছিল সেনাবাহিনীর বন্ধুদের নিয়ে রাজার ছেলে চলল মায়ের ওষুধ আনতে জম্বুস্থান। পথে জঙ্গলে রাস্তা হারাল। দিনের পর দিন খাবার, পানীয় না পেয়ে মৃতপ্রায় হয়ে কাঠুরিয়ার ঘরে এসে খাবার পেল। আর সেখানে থাকতে থাকতে ভুলে গেল রাজমহলের রাস্তা। তিনি লিখেছেন যদি রাস্তা খুঁজে পেত তাহলে এই সবকিছুই রাজার ছেলে উপেক্ষা করত। আর এখান থেকেই রুদ্রপ্রসাদের নাটক শুরু। রাজার ছেলের পারিবারিক পেশা রাজনীতি। সে সুস্থ হয়ে জঙ্গলের লোকদের সেনাবাহিনীতে পরিণত করল। জঙ্গল সাফ করে তার কাঠ বেচল। পশু মেরে তাদের চামড়া, দাঁত বেচল। কাঠুরিয়া ভাই প্রতিবাদ করলে তাদের জ্বালিয়ে দিল। রাজা হওয়ার জন্য জঙ্গলের লোককে একজোট করে কাঠুরিয়া মা-ভাইকে হত্যা করল। রাজধানী ফিরে রাজা হওয়ার পর সিংহাসন বাঁচানোর পর মানুষের ঐক্য ভেঙে দিল। এখন কেউ কাউকে মা, ভাই, বন্ধু বলে না। কিন্তু যুবরাজ হয়ে যখন ভাষণ দেন তখন বলেন, ভাইয়ো, বহেনো, মিত্র, পরায়ে সাথীও।
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে শ্লেষে ভরপুর এই নবনাট্য পরিবেশনায়, পরিচালনায়, সংযোজনে, মঞ্চভাবনায় এবং সম্পাদনায় ছিলেন রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী। মূলত চারজন মহিলা শিল্পী দ্বারা বর্ণিত হয় গীতিনাটকটি। প্রায় এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের এই নাটকে এনার্জিতে ভরপুর ছিলেন চার জন শিল্পী। কথার মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা চরিত্রগুলোকে প্রাণবন্ত করেছিলেন তাঁরা। প্রতিটি চরিত্রই সাবলীল স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ে সকলের নজর কাড়ে। চরিত্রগুলোতে রূপদান করেন ঐন্দ্রিলা তালুকদার, সায়ন্তী চ্যাটার্জি, ঐশী কর, অনুষ্কা দে, কৌশিক মণ্ডল, বিট্টু কর। নাটকটিতে কণ্ঠ ও যন্ত্র সঙ্গীতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাজেশ পাত্র, অর্ণেশ গুপ্ত, শতাব্দী নন্দী, কানাইলাল কারফরমা, গৌতম হেলা ও বিট্টু কুমার।