দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সবমিলিয়ে যে রাজ্যে মাত্র ছ’মাস আগে জাতীয় পর্যায়ে দলের সফল জুটির সৌজন্যে লোকসভার আসন সংখ্যা দুই থেকে একলাফে ১৮-তে পৌঁছে গিয়েছিল, মাত্র তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হার তাঁদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। যদিও বিজেপি পার্টি অফিসে এই আলোচনার পাল্টা বক্তব্যও শোনা গিয়েছে অপর অংশের নেতা-কর্মীদের মুখে। তাঁদের দাবি, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের চরিত্র ভিন্ন। লোকসভায় ভোটাররা কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের প্রশ্নে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। আর বিধানসভা উপনির্বাচনের রায় অধিকাংশ সময়ে শাসকের পক্ষে যায়। সেদিক দিয়ে বিচার করলে দিল্লির নেতাদের ভুল-ত্রুটি না ধরে রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকার পর্যালোচনা হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকেই। তাঁদের কথায়, এখানে ভোট হয়েছে মমতার পক্ষে এবং বিপক্ষে। সেদিক থেকে দেখলে উপনির্বাচনের লড়াইতে তৃণমূলনেত্রী সার্বিকভাবে সফল। তাই এখন থেকে নিজেদের খামতির দিকগুলি চিহ্নিত করে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছনোর কথাও উঠে এসেছে আলোচনায়।
দলের একটি মহলের দাবি, তিনে শূন্য ফল আমাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, লোকসভায় অভূতপূর্ব সাফল্য মেলার পর বহু নেতা-কর্মীর মধ্যে ঔদ্ধত্য চলে এসেছিল। পাশাপাশি জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও টাকা তোলার লড়াই শুরু হয়েছিল। এই ফলাফল তাঁদের কাছে উচিত শিক্ষা। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বকে এই আগাছা পরিষ্কারের কাজে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার প্রসঙ্গও উঠেছে পার্টি অফিসের সেই আড্ডায়। অনেকের দাবি, লোকসভা ভোটের সাফল্য দেখে বহু লোক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তাঁদের অনেকেই ফের ‘ঘর ওয়াপসি’ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে পরখ করে দলে নেওয়ার কথাও উঠেছে এদিন পার্টি অফিসে।