নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশে পরপর ধেয়ে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ফলে বাতাসে শীতলতা জমাট বাঁধছে না। পাশাপাশি একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফাঁক গলে শীতল বায়ুপ্রবাহ প্রবেশ করতে পারছে না সমতলের ভূখণ্ডে। ফলে নভেম্বরের শেষেও শীতের দেখা নেই বললেই চলে। চলতি মাসের মাঝামাঝি ঠান্ডা আসার আভাস দিয়ে সেই যে উধাও হয়েছে, আর দেখা নেই তার। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে যথাক্রমে ৩১ ও ১৯ ডিগ্রির মধ্যে। আগামী তিন-চারদিনেও এই তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোনও হেরফের হবে না। তবে ডিসেম্বরের ৩-৪ তারিখ থেকে রাতের তাপমাত্রা ফের কমতে শুরু করবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। নভেম্বরের শেষেও দিনের বেলা ভ্যাপসা গরমে ঘামতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। ভোররাতের দিকে সামান্য ঠান্ডা লাগলেও তা শীত আসার আগেকার অবস্থা বলে মনে হচ্ছে না কারও। তবে এমন ঘটনাকে অস্বাভাবিক কিছু বলেও মনে করছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। পরপর দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মধ্যবর্তী সময় বাড়লে সেই ফাঁকেই এ রাজ্য সহ পূর্ব ভারতে ঢুকে পড়বে উত্তুরে শীতল হাওয়া।
শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ, শনিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালে ভালো কুয়াশা হতে পারে। তবে আজ সহ আগামী ক’দিনে রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা শুরু হয়েছে, যা শীতের পথ আটকে দিচ্ছে। এর ফলে আগামী ক’দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। শুক্রবার ভোরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। এই তাপমাত্রা আরও দু’ডিগ্রি মতো বাড়তে পারে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও ছিল বেশি। ফলে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে।