দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ধনকার বেজায় চটেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর ক্ষোভ কিছুটা ব্যক্তও করেছেন। কিন্তু এদিনের সাক্ষাৎকারে তিনি যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন, তা এককথায় নজিরবিহীন। তিনি এদিন বলেন, গত কয়েক মাসে প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে নানাভাবে আমায় অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কোনও ঘটনা সম্পর্কে এই চার মাসে একবারও আমায় রিপোর্ট করেননি তিনি। অথচ সংবিধান মোতাবেক এটা করা তাঁর কর্তব্য। সবচেয়ে বড় কথা, বুলবুল সাইক্লোনের পর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আমায় অবহিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দেননি। বদলে স্বরাষ্ট্রসচিবকে দিয়ে উত্তর পাঠিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এটা করতে পারেন না। সংবিধান বলছে, আমার চিঠির জবাব অন্য কেউ নয়, তাঁকেই দিতে হবে। এভাবে আমায় অসম্মান করে আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নিজেকে ছোট করছেন। অথচ ব্যক্তিগতভাবে ওঁর মতো উঁচুমাপের মানুষকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি।
কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও তো সাংবিধানিক অধিকারের বেড়া ভেঙে কাজ করার, এমনকী সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ করছে সরকার এবং শাসক শিবির? সংবাদসংস্থাকে এর জবাবে রাজ্যপাল বলেন, আমি এই তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, এব্যাপারে তারা একটা উদাহরণ সামনে তুলে ধরুক। আমি পুরোপুরি সংবিধান মেনেই কাজ করছি। সরকার বা প্রশাসন চালানো মোটেও আমার কাজ নয়। কিন্তু সরকার সংবিধান মোতাবেক চলছে কি না, সেটা দেখা আমার কাজ। কোথাও যদি সংবিধান লঙ্ঘিত হতে দেখি, আমি নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করব।
সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যপাল এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বিরুদ্ধে প্রোটোকল তা প্রথা ভাঙার অভিযোগ আনেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশের কোথাও কেউ দেখাতে পারবেন যে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে বিধানসভায় ডেকে লাইনে থাকা পাঁচ নম্বর বক্তা হিসেবে ভাষণ দিতে ডাকা হয়েছে?
পারস্পরিক তিক্ততা বা অন্য কোনও কারণেই হোক, বাংলায় আসার পর রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্প উদ্বোধনে এখনও ডাক পাননি রাজ্যপাল। তবে তাঁর রাজ্য রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার তাঁকে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বারোদ্ঘাটনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আজ নিজের গ্রাম ঝুনঝুনু জেলার কিথানায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তিনি। অনুষ্ঠানে অশোক গেহলট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ একাধিক আমলাও উপস্থিত থাকবেন ধনকারের সঙ্গে।