দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সাত মাস আগে লোকসভা ভোটে বিজেপি খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে পেয়েছিল ৫৮ শতাংশ ভোট। তৃণমূল সেখানে পেয়েছিল মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট। এটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। তিনি এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন। সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এবার ৩৩.৯৮ অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি ২৪ শতাংশ কম ভোট পেল গত লোকসভা ভোটের তুলনায়। অথচ এই কেন্দ্রেই তৃণমূল উপনির্বাচনে পেয়েছে ৪৭.৬৬ শতাংশ ভোট। গত লোকসভা ভোটের তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে। গত তিন বছরে বিজেপির গড় বলে পরিচিত খড়্গপুরে বিজেপির ভোটের হার মারাত্মক কমে গিয়েছে। যা রাজ্যৎ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত লোকসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়নি। খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫.১৪ শতাংশ ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫.০৬ শতাংশ। এবার যৌথভাবে জোট গড়ে লড়াই করেছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেলেন ১৪.৮৩ শতাংশ ভোট। জোট গড়ে গত লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোট বাড়লেও জোটপ্রার্থী জামানত রক্ষা করতে পারেননি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ভোটের ১৬.৬৬ শতাংশ ভোট পেলেই জামানত রক্ষা হয়। তাও পায়নি তারা। নোটা ভোট পড়েছে খুব কম। মাত্র ১.১২ শতাংশ। পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তারা পেয়েছে ২৭টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে মাত্র চার এবং কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র দু’টি ভোট।
খড়্গপুরের পর রাজ্যবাসীর নজর ছিল করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের দিকে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছিল ৪২.৪ শতাংশ ভোট। এবার উপনির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়াল ৫০.৪৩ শতাংশ। বিজেপির ভোট ছিল ৩৫.৫ শতাংশ। তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.২৮ শতাংশ। লোকসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হয়নি। কংগ্রেস পেয়েছিল ১০.৭ শতাংশ ভোট। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮.৫ শতাংশ ভোট। এবার কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী পেলেন ৯.০৯ শতাংশ ভোট। এখানে দেখা যাচ্ছে, বাম-কংগ্রেস তাদের ভোট ধরে রাখতে পারেনি। সেই ভোটের একটি অংশ তৃণমূলের দিকেই গিয়েছে। পোস্টাল ব্যালটে অনেকটাই এগিয়েছিল বিজেপি। তারা পেয়েছে ৫৮। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১২। আর জোটের প্রার্থী পেয়েছেন ৩ ভোট।
লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৫২.২ শতাংশ ভোট। সেখানে উপনির্বাচনে বিজেপি পেল ৪৩.৫৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ প্রায় নয় শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূল পেয়েছিল ২৭.৩ শতাংশ ভোট। এবার তৃণমূল তাদের ভোট বাড়িয়ে পেল ৪৪.৬৫ শতাংশ। বাড়ল ১৭ শতাংশের বেশি। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ৮.১ শতাংশ ভোট, আর বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮.৪ শতাংশ ভোট। এবার জোটের প্রার্থী পেলেন ৮.৬৪ শতাংশ। এখানে তাঁর জামানত জব্দ হয়েছে। তবে পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তারা পেয়েছে ১৫টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ১১টি ভোট। আর জোট প্রার্থী পেয়েছেন ৩টি ভোট।