দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কেন্দ্রের শাসকদলের অ্যাজেন্ডা পূরণের লক্ষ্যে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ধনকার বেশ কিছুদিন ধরেই নানা পদক্ষেপ করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী সহ গোটা শাসকপক্ষ সরব হয়েছে। সংবিধান দিবসের বিশেষ অধিবেশনেও এনিয়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মমতাও নাম না করে তাঁকে নিশানা করেছেন কড়া ভাষায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মন্ত্রী-বিধায়করা দু’দিনের এই আলোচনাসভায় তাঁকে নিশানা করে কে কী বলেছেন, তার লিখিত বিবরণ (প্রসিডিংস) অধ্যক্ষের সচিবালয় থেকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তা খতিয়ে দেখার পর তিনি পাল্টা কী করেন, এখন সেদিকে নজর রাখছে রাজভবন।
শীতকালে রাজভবনের কর্ণধাররা দিন কয়েকের জন্য দার্জিলিংয়ে বসেই দপ্তর চালান। ব্রিটিশ আমল থেকেই এটা দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীনতার পর যে যখনই রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় এসেছেন, তাঁরা ফি বছর শীতের মরশুমে এই প্রথার অন্যথা করেননি। নিয়ম মেনে রাজ্যপালের গোটা অফিসও সেই সময় স্থানান্তরিত হয়েছে প্রতিবার। বাবুর্চি থেকে আধিকারিক, বাসনপত্র থেকে আসবাব—প্রায় সব কিছুই লরিবন্দি করে চলে যেত কলকাতা থেকে দার্জিলিংয়ে। এহেন এলাহি বন্দোবস্তের মাধ্যমে এবারও নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে রাজভবনের দপ্তরকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল এই সফর আপাতত বাতিল করতে বলায় অবাকই হয়েছেন তাঁর দপ্তরের আধিকারিকরা। রাজভবন সূত্রের খবর, তাঁর প্রস্তাবিত দার্জিলিং সফরের সময় বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে বলে খবর পেয়েই রাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত নেন। আধিকারিকদের তিনি বলেছেন, বিধানসভা চলাকালীন তাঁর কলকাতায় থাকা এবার অনেক বেশি জরুরি। কারণ, যে কোনও পরিষদীয় দল তাদের ক্ষোভ জানাতে অধিবেশন চলাকালীন তাঁর কাছে দরবার করতে আসতে পারে। বিরোধী শিবির এর আগে অধিবেশন চলাকালীন যেভাবে নানা ইস্যুতে তাদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় তাঁর কলকাতা ছেড়ে যাওয়া সঠিক হবে না বলেই মনে করছেন ধনকার।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিরোধীরা যাতে তাঁর কাছে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে আসতে পারে, সেজন্য তিনি রাজভবনের দরজা খোলা রাখার পরিকল্পনা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংঘাতের বাতাবরণেই অপর প্রান্তে থাকা শাসক শিবিরকে নির্দিষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজ্যপাল ধনকার।