ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আন্দুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার একাংশ কান্দির হিজল বিলের অন্তর্গত। বর্ষার সময় ওই এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমি কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে আমন চাষ করে অনেকে ধান ঘরে তুলতে পারেন না। বছরের অন্যান্য ফসলেও, ভালো লাভের মুখ দেখা যায় না বলে অভিযোগ। এবছরও ওই এলাকার প্রচুর আমনের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। অনেকে প্রথমবারের আমন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার জমিতে আমন বুনতে রাজি হননি। ফলে আমনের জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই কারণে এলাকার চাষিদের একাংশ ধান চাষ থেকে বিরত থেকে মাছচাষের দিকে ঝুঁকছেন। বাসিন্দারা জানান, এই এলাকা নিচু হওয়ায় ধানচাষ করে প্রতিবছর লাভের মুখ দেখতে পান না। আবার খরার সময় জলের অভাবেও ধানচাষ করা যায় না। অন্যান্য ফসল লাগিয়েও কেবলমাত্র খরচ ওঠে। তাই ইতিমধ্যে কয়েকজন চাষি ধানের জমির চরিত্র বদল করে সেখানে পুকুর খনন করেছেন। পুকুরে মাছচাষ করে ধানের থেকে ভালো আয় হচ্ছে বলেও তাঁরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ইদুন শেখ বলেন, ইতিমধ্যে শতাধিক চাষি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা ধানের জমিতে পুকুর খনন করে মাছচাষ করতে চাইছেন। কিন্তু পুকুর খননের ক্ষেত্রে তাঁদের অর্থের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চাষিরা সরকারিভাবে পুকুর খননের দাবি করছেন। অনেকে নিজে থেকে খরচ করে পুকুর খনন করে মাছচাষ করে ভালো আয় করছেন।
কান্দি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বড় পুকুর খনন করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে জমির মালিকদের মুচলেকা দিতে হবে যে, ওই পুকুরের জল অন্যদেরও ব্যবহার করতে দিতে হবে। এছাড়াও জমির চরিত্র বদল করে সেটিকে পুকুর করতে হবে। সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করার পর ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চাষিরা মাছচাষের জন্য সরকারিভাবে পুকুর খনন করতে পারবেন।