কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বয়সে অনেকটা ছোট, শালীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রাজাধাক্ষ্যের। স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাবার পর শালীও বাড়ি ছেড়ে চলে যায় নতুন বন্ধু দেবদত্তর কাছে। দেবদত্তও একজন সফল লেখক। যে দেবদত্তকে রাজাধাক্ষ্য অপছন্দ করেন, তার সঙ্গে শালীর সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেন না। নিজেদের সৎ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনজনই নিজ নিজ
ধ্যান ধারণাকে ঠিক বলে মনে করেন।
কিছু ভুল করা, কিছু বেঠিক ভাবনা, কিছু সন্দেহ, কিছু কল্পনা, কিছু সত্য—এইসব মিলিয়ে এক ধোঁয়াশা। আর এই ধোঁয়াশার বৃত্তে ক্রমাগত ঘুরতে থাকা চরিত্র তিনটি অবশেষে আসল সত্যের মুখোমুখি হয়। বদলে যেতে থাকে এতদিনের ভাবনা, অনুভূতি এবং সম্পর্কের ওঠাপড়া। এক পুরুষকে কেন্দ্র করে দুই নারীর সম্পর্কের এক টানাপোড়েন বুনেছেন নাট্যকার মহেশ এল্কুঞ্চওয়ার। বহু ব্যবহৃত প্লট, তাই ‘আত্মকথা’ নতুন কিছু দেয় না। বিনয় শর্মার নির্দেশনা বড়ই মন্থর। ঘন ঘন দৃশ্য থেকে দৃশ্যে যাওয়ার মাঝে প্রপসের ঘন ঘন পরিবর্তন চোখে পীড়া দেয়, একাগ্রতায় আঘাত করে।
রাজাধাক্ষ্যর স্ত্রীর চরিত্রে চেতনা জালানের অভিনয় এত উচ্চকিত কেন? শালীর চরিত্রে কল্পনা ঠাকুর ঝা’র অভিনয়ও নাটকটিকে পরিপূর্ণতা দিতে পারেনি। বরং অনেক উজ্জ্বল এবং মানানসই অনুভা ফাতেপুরিয়ার প্রজ্ঞা। একমাত্র প্রাপ্তি রাজাধাক্ষ্যর চরিত্রে কুলভূষণ খারবান্দা। প্রতিটি মুহূর্তে তিনি অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। সমগ্র প্রযোজনাটিকে একাই ধরে রেখেছিলেন। শুধুমাত্র তাঁরই জন্য ‘পদাতিক’-এর ‘আত্মকথা’ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।
বিনয় শর্মার আবহ, মঞ্চ ও ভিডিও এবং সুদীপ সান্যালের আলো, নাটকটিতে আলাদা কোনও মাত্রা যোগ করতে পারেনি।