সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
তৃণমূলের পাওয়ারলুম তাঁত শ্রমিক নেতা আশু সরকার বলেন, এই কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে। নিতাইনগর, সুভাষনগরে প্রায় ৬০০ পাওয়ারলুম শ্রমিক প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১৬টি পাওয়ারলুমে কাজ করেন। আমাদের আবেদনে মোট ৭ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ। শ্রীচৈতন্য প্রোগ্রেসিভ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ারলুম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিমচন্দ্রনাথ বলেন, জিএসটি, নোটবন্দির কারণে আমাদের এখানকার পাওয়ারলুমগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। মালিকরা বিপন্ন। ধ্বংসের মুখে এই শিল্প। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পাওয়ারলুম কারখানা। ছোট ব্যবসায়ীরা এই কাজ ছেড়ে বিকল্প জীবিকা বেছে নিচ্ছেন। সুতো, রং, বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি, সরকারি ভর্তুকির অভাব প্রভৃতি কারণে বন্ধের মুখে এই শিল্প। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিদ্যুতের মাশুল কমানো, সরকারি ভর্তুকি দেওয়া প্রমুখ বিষয়ে আবেদন নিবেদন করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। শ্রমিক-মালিক উভয়কেই বাঁচাতে হবে। ফলে মজুরি বৃদ্ধির ইচ্ছে থাকলেও সবসময় উপায় থাকে না। সরকার একটু নজর দিলে আগামী দিনে এশিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।
সংস্থার সম্পাদক নিশীথ ভৌমিক বলেন, ভাগীরথীর পূর্বপাড়ের পাওয়ারলুম শ্রমিকদের ২০১৫ সালের পর ২০১৯ সালে সম্প্রতি মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে, পয়লা জুলাই থেকে বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা চিন্তাভাবনা করে পশ্চিমপাড়ের শ্রমিকদের জন্য পাঁচ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম। ৯০ শতাংশ পাওয়ারলুমের কর্মী এই মজুরি বৃদ্ধি মেনেও নিয়েছিলেন। নিতাইনগরের ছ’টি ও সুভাষনগরের দু’টি পাওয়ারলুমের শ্রমিকরা এই মজুরি বৃদ্ধি মানেনি। ১৫ জুলাই শ্রমিকরা ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। আমরা সেইসময় আলোচনা করে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছিলাম, আর্থিক অনটনের এই সময়ে আর মজুরি বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তবে আলোচনার মাধ্যমে নবদ্বীপের ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ের পাওয়ারলুম শ্রমিকদের ১৫ শতাংশের পরিবর্তে মোট ৭ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে।