সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট কড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের জন্যই এই কমিটি গড়া হয়েছে। এই মুহূর্তে জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ৫০০টি এবং সহায়িকার ক্ষেত্রে প্রায় ১১০০ মতো শূন্যপদ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, কিছু নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি আগে বেরিয়েছিল। কিছু জায়গায় ফলাফল এখনও বেরোয়নি। বাকি নিয়োগ কী হবে তা নিয়েই বৈঠক হবে। অঙ্গওয়াড়ি প্রকল্পের জেলা প্রকল্প আধিকারিক ভাস্কর ঘোষ বলেন, নতুন কমিটির ব্যাপারেও নির্দেশিকা আমাদের কাছে এসেছে। বুধবার এই কমিটি প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছে। সেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের আটটি জেলায় এই কমিটির চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদল আনা হয়েছে। নদীয়ার পাশাপাশি রয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ। গাইড লাইন মেনে এই কমিটিকে নিয়োগের কাজ করতে বলা হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব এই কমিটিকে কাজ করতে বলা হয়েছে। গঠন হওয়া কমিটির চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানকে এই নির্দেশিকার কপিও পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৮১১। এই মুহূর্তে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সংখ্যা ৬৩৬০। সহায়িকার সংখ্যা ৫৭৯৯। স্বাভাবিকভাবেই এমন বহু কেন্দ্র আছে যেখানে শুধুমাত্র একজন সহায়িকা রয়েছে। আবার কোথাও একজন কর্মী রয়েছেন, সহায়িকা নেই। এমনও বহু অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রয়েছেন যাঁরা একসঙ্গে একাধিক কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তারফলে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা সহায়িকাকে যেমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তেমনই পরিষেবারও ঘাটতি থাকছে। শিশু ও প্রসূতিরা নানাভাবে সমস্যায় পড়ছে বলেও অভিযোগ। এছাড়া, দীর্ঘদিন থেকে সেখানে শিশু ও প্রসূতিদের জন্য পরিবেশিত খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধির দাবি রয়েছে। যদিও এই নিয়োগ কবে হতে চলেছে, সেব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনও কর্তাই নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি। এর আগে কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন উজ্জ্বলবাবু। ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা। এদের দু’জনকেই ওই কমিটিতে আর রাখা হয়নি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এটা রাজ্যের একদম সর্বোচ্চ স্তরের সিদ্ধান্ত। এব্যাপারে উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এই সিদ্ধান্তে আমার কোনও আপত্তি নেই।
এদিকে, মহুয়াদেবীকে চেয়ারম্যান করা হলেও জনপ্রতিনিধিদের একটা অংশ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। অভিযোগ, ফলাফল বের হওয়ার পর কার্যত এলাকায় দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। শাসকদলের একাধিক বিধায়কের অভিযোগ, দরকারে তাঁরা সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না। সাংসদকে এলাকায় না পেয়ে বিভিন্ন শংসাপত্র নিতে এসে হয়রান হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর মধ্যে আবার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান তাঁকে করা আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, বুধবারের বৈঠকে তিনি যে যোগ দেবেন তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আপাতত জেলায় শুধুমাত্র সরকারি পোষিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেই কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগ হবে। সহায়িকা পদের জন্য অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হবে। এছাড়া, কর্মী পদের আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। দুই পদে আবেদনের জন্য চাকরি প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮-৪৫ বছর হতে হবে।