সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর থেকে এই এলাকার কিছু অংশে বিজেপির আধিপত্য বাড়ে। অভিযোগ, তারা জোর করে তৃণমূলের কয়েকটি অফিস দখল করে নেয়। তৃণমূলের পতাকা খুলে সেখানে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীদের একপ্রকার এলাকাছাড়া করা হয়। পুলিসের উপস্থিতিতে এদিন বিধায়ক প্রদ্যোৎ ঘোষের নেতৃত্বে তিনটি পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল। বিজেপির পতাকা নামিয়ে দলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিস নিয়ে এলাকায় ঢুকে বিধায়ক বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির পতাকা খুলে রাস্তায় ফেলে দেন।
দলের নির্দেশে এদিন দিদিকে বলো কর্মসূচিতে বেনাডিহা গ্রামে যান বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ সহ দলের নেতা ও কর্মীরা। দল থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া চারজন বাসিন্দার সঙ্গে বিধায়ক কথা বলেন। এলাকায় কার্ড বিলি করেন। ফিরে আসার সময় পাকুরসেনি পঞ্চায়েত এলাকার হিরাপাড়ি, তেঁতুলিয়া ভূমিজান ও বেনাডিহি গ্রামে দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করেন। বিজেপির পতাকা নামিয়ে দিয়ে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। বিধায়ক বলেন, এর আগে ওদের দলের কাছে পার্টি অফিস খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। ওরা সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এদিন দিদিকে বলো কর্মসূচির সঙ্গে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারেরও কর্মসূচিও রাখা হয়। এবার থেকে কর্মীরা নিয়মিত এই অফিসগুলিতে বসবেন।
মিহিরবাবু বলেন, লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপি ও সিপিএম যৌথভাবে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখে। আমাদের দলের অফিস দখল করে নিজেদের দলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের নেতাদের নামে কাটমানির মিথ্যা অভিযোগ তুলে টাকা আদায় করা হয়। তৃণমূলের কোনও দলীয় কর্মসূচি করতেও বাধা দেওয়া হয়। এদিন আমরা সেই সব পার্টি অফিস উদ্ধার করেছি। এবার থেকে সেখানে দলীয় কাজকর্ম হবে। কেউ বাধা দিতে এলে আমরা যেমন পুলিস প্রশাসনকে জানাব, তেমনই রাজনৈতিকভাবেও মোকাবিলা করব।
বিজেপির এসসি মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ দোলই বলেন, ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। ওদের পার্টি অফিস আমরা দখল করিনি। মানুষই দখল করে নেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, যারা কাটমানি খেয়েছে তারা ওই পার্টি অফিসে বসতে পারবে না। বাসিন্দারা মনে করেছেন একমাত্র বিজেপিই এলাকার উন্নয়ন করতে পারবে। তাই তাঁরা ওই সব অফিসে বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে দেন। এদিন দেখলাম পুলিস নিয়ে এসে তৃণমূল পার্টি অফিসগুলির দখল নিল। ওদের বিধায়কের উপস্থিতিতেই বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলের টাঙানো পতাকা খুলে দেওয়া হল। আমরা রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করব। দলের যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দেবনাথ বলেন, ওরা পুলিস দিয়ে অফিস খুললেও সেখানে বসার লোক তো নেই। মানুষ তো আমাদের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, এই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপি তৃণমূলের অনেকের বিরুদ্ধেই কাটমানির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে তা স্বীকার করতে বাধ্য করে। এমনকী তালিকা তৈরি করে টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তৃণমূলের অভিযোগ, এভাবেই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সব ঘটনাই সাজানো। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, টাকা ফেরত দিয়ে অনেকেই দোষ স্বীকার করে নিয়েছে।