উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
১১ দিন আগে শহরের একটি ব্যাঙ্কের আর্থিক ‘কলেঙ্কারির’ পর্দা ফাঁস হয়। ওই দিন থেকে টানা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুলিস দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে এক ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে ঘটনার তদন্ত করছিলেন। তাঁরা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে একাধিকবার হানা দিয়ে অভিযুক্তের খোঁজ পায়নি। এরপর ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুসারে তদন্ত চালিয়ে পুলিস অঙ্কিতা ও হেমার হদিশ পায়। মধুপুরে অঙ্কিতার বাড়ি। কাশিমবাজারে হেমার বাড়ি। বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অঙ্কিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার এবং হেমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা স্থানান্তরিত করেছিল ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, পুলিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
পুলিসের এক অফিসার বলেন, ধৃতদের ওই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিয়েছে। কিন্তু, আচমকা অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত টাকা ঢোকার পরও তারা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কোনওরকম যাচাই না করেই তারা ওই টাকা খরচ করেছেন। খুব সম্ভবত কোনও ব্যবসায় তারা সেই অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। কিংবা অন্য কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তারা সেই টাকা স্থানান্তরিত করেছেন। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃতদের পরিচিত। তাই ওই মহিলাদের গ্রেপ্তার করে এদিন আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদেরকে তিন দিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার ব্যাঙ্কের গায়েব হওয়া স্থায়ী আমানত উদ্ধার করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, প্রধান অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে বহরমপুর থানায় ব্যাঙ্কেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা গায়েব করার অভিযোগ করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুলিস ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কে সাতটি কৃষক সমবায় সমিতি স্থায়ী আমানত রেখেছিল। সেই আমানত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কয়েকদিন আগেই তা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেছে অভিযুক্ত ক্যাজুয়াল ব্যাঙ্ককর্মী। পুলিস ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কর্মী এমনভাবে ব্যাঙ্কের টাকা সরাচ্ছিল। গত মার্চ মাসে ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ অডিটে তা ধরা পড়ে। এরপর বিভাগীয় তদন্ত করে ওই জালিয়াতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।