কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
এদিন ইংলিশবাজারের রাস্তাঘাটে লোক বেশি দেখে বিস্মিত হয়ে পড়ে প্রশাসনও। খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়। রাস্তাঘাট ফাঁকা করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিস। এদিন রাস্তায় যথেষ্ট রিকশ ও টোটো নজরে পড়ে। সেইসঙ্গে বাইকের দাপাদাপি তো ছিলই। লকডাউনের শহরের কয়েকটি জায়গায় যানজটও তৈরি হয়। এদিকে পুলিস রাস্তা ফাঁকা করতে উদ্যোগী হলে তাদের ঘিরে কটুক্তি শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তা সত্ত্বেও অবশ্য পুলিসের ভয়েই দুপুর নাগাদ রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, লকডাউন কোনওভাবেই শিথিল করা হবে না। আমরা মানবিকভাবে গোটা ব্যাপারটি দেখছি। কিন্তু এটাকে পুলিসের দুর্বলতা ভাবা ঠিক নয়। অনেকেই লকডাউনের নিয়ম মানছেন। কয়েকজন মানছেন না। আমরা আইনগত কড়া পদক্ষেপ নেব।
অন্যদিকে এদিন পুরাতন মালদহ শহরে লকডাউনের জেরে ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। এদিন সকাল সকাল সব্জি বাজারে দূরত্ব বজায় রেখে লোকসমাগম হলেও শহরের অন্যান্য প্রান্ত কার্যত শুনসান ছিল। এদিন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মাছ বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। জনা কয়েক মৎস্য ব্যবসায়ী ভিড় এড়াতে শহরের মোড়ে মোড়ে মাছ বিক্রি করেছেন। এদিন দু’চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া শহরে তেমন পুলিসি টহল নজরে আসেনি। সদরঘাট মাংস বাজারে বাসিন্দাদের ভিড় ছিল। সেখানে আবার অনেকে দূরত্ব বজায় রাখেনি বলে অভিযোগ। শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট কমিটির সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, আমরা প্রতিদিন নজরদারি করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় বাখার জন্য এলাকাবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে।
এদিন মালদহ জেলার এলপিজি ডিলার্স আ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দুই লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। ইন্ডেনের জেলা নোডাল অফিসার সৌম্যরঞ্জন মল্লিক জানিয়েছেন, জেলায় আপাতত এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ ঠিক আছে। এলপিজি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা সোমেশ দাস বলেন, যাঁরা বাড়ি বাড়ি সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে মালদহের চাঁচল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শতাধিক এলাকাবাসীর হাতে চাল, ডাল, সাবান ও সানরাইজার তুলে দেওয়া হয়েছে।