কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ সোমবার এই তিন লক্ষ কার্ড না পাওয়া গ্রাহকের নাম-ঠিকানা জেলাশাসকদের কাছে পাঠাবে খাদ্য দপ্তর। মঙ্গলবার থেকে তা চলে যাবে বিডিওদের কাছে। বিডিওরাই ওই কুপন পৌঁছে দেবেন গ্রাহকদের বাড়িতে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর করা হবে বলে রবিবার খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
জ্যোতিপ্রিয়বাবুর কথায়, লকডাউন কেন্দ্রিক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ডাক যোগাযোগ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেকারণে এত মানুষের কার্ড তাঁদের বাড়িতে পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো বিনা পয়সায় আগামী ছ’মাসের রেশন থেকে আমরা তাঁদের বঞ্চিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবারই এই নামের তালিকা জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের এক বারে এক মাসের রেশন দিয়ে দেওয়া হবে। তবে একটি নির্দিষ্ট দিনে সবাই রেশন দোকানে গিয়ে জিনিস চাইলে তা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, একজন ডিলারের পক্ষে এত সামগ্রী ছোট গুদামে মজুত করা অসম্ভব। তাই ডিলাররাই ঠিক করে দেবেন কোন দিনে কোন পাড়ার গ্রাহকরা রেশন তুলবেন। বিষয়টি জেলাশাসকের পাশাপাশি খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় আধিকারিকরা মনিটর করবেন। গ্রাহকদেরও এব্যাপারে সহযোগিতা করতে হবে।
এদিকে, লকডাউনের জেরে কারখানার শ্রমিকরা বাড়ি চলে যাওয়ায় রাজ্যের চালকলগুলিতে ঝাঁপ পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যের ১২০০ চালকলের ছবিটা ছিল এমনই। ফলে খোলা বাজারে চালের সরবরাহে টান পড়তে শুরু করে। চালের দামও সেজন্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এই খবর পেয়েই খাদ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হন। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারও চালকল মালিকদের এনিয়ে বার্তা পাঠান। শেষ পর্যন্ত শনিবার থেকে পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু চালকল খুলতে শুরু করে। কাছাকাছি থাকা শ্রমিকদের বিশেষ পাশ দিয়ে লকডাউনের মধ্যে কারখানায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল সরবরাহের পরিস্থিতি দু’দিনে অনেকটা উন্নত হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে বাকি জেলাগুলিতেও সব চালকল খুলে যাবে। বন্ধ থাকার পর চালকলগুলি যে ফের খুলতে শুরু করেছে, সে কথা মেনেছেন সিপিএমের কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদারও।