শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, জোট তৈরির পথ মসৃণ না হওয়ায় বাম শিবিরের অন্দরে নানা ধরনের ‘কাঁটা’ রয়েছে। আবার কংগ্রেসের মধ্যেও সংখ্যা এবং এলাকা ইস্যুতে আসন ছাড়ার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। বামফ্রন্টের তিন শরিক আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক আপাতত তাদের কোটার কোনও আসন ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। তবে রাজ্যে বাম রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার প্রশ্নে চাপের মুখে তারা একটি করে আসন ছাড়তে পারে বলে আরএসপি এবং সিপিআইয়ের অন্দরের খবর। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক কিছুতেই এ পথে হাঁটতে রাজি নয়। তাদের কোটার তিনটি আসনে তারা এবারও লড়বে বলে ঠিক করেছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন জেলার কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে নরেন চট্টোপাধ্যায়, হাজিফ আলম সাইরানিরা পাল্টা চাপের কৌশল নিতে চলেছেন। যদি তাঁদের কোটার তিনটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়, তাহলে ফরওয়ার্ড ব্লক আরও অন্তত চার-পাঁচটি আসনে লড়বে। সোমবার চার বাম দলের বৈঠকে দলের তিন প্রার্থীর নাম সহ এই সিদ্ধান্তের কথা নরেনবাবুরা সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেবেন বিমানবাবুদের।
তবে শরিকি ঝামেলার থেকেও এই মুহূর্তে বিমানবাবুদের কাছে দুই লোকসভা সদস্যের আসন রক্ষা করা আরও বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের জন্য তাঁরা তাঁদের কোটার ৩২টির মধ্যে অন্তত এক ডজন আসন ছাড়তে পারেন বলে সোমেনবাবুকে আভাস দিয়েছেন বিমানবাবু। কিন্তু তার বদলে রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিম এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বদরুদ্দোজার মতো দলের দুই বর্তমান এমপি’র ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে হাত তুলে নিতে হবে প্রথমেই—আলিমুদ্দিনের এই শর্ত নিয়ে কোনও নিশ্চিয়তার বাণী প্রথম সাক্ষাতেই শোনাতে পারেননি সোমেনবাবু। তবে বিমানবাবু শনিবার রায়গঞ্জে গিয়ে সেলিমের উপস্থিতিতেই দলের নেতা-কর্মীদের স্পষ্ট বুঝিয়েছেন, এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিক বা না দিক, সেলিমই ফের দলের হয়ে লড়বেন। একইভাবে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও এই মনোভাব নিয়েছেন তাঁরা। যদিও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে এবার ‘হাত’ চিহ্ন নিয়ে দীপা দাশমুন্সি লড়বেন বলে একপ্রকার ঘোষণা করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। দীপার দাবিকে সোজাসুজি এখনও নস্যাৎ করেননি সোমেনবাবুরা। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে আবু হেনাকে দাঁড় করানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন স্বয়ং অধীর চৌধুরী। তাই এই দুই আসনে বোঝাপড়া ভেস্তে গেলে পুরো জোট প্রক্রিয়াই খাদের কিনারায় চলে যাবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।