শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্তারা গত ক’বছরের পরিসংখ্যান দেখে কয়েকটি সিদ্ধান্তে এসেছেন। তাঁরা দেখেছেন, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও শিলিগুড়ি মহকুমা পর্ষদ এলাকা—এই ১০টি জেলাতেই গড়পড়তা প্রতি ১০০টির মধ্যে ৯০টি ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আর ৯০ শতাংশ ‘ডেঙ্গু-ডেথ’-এর খবর এসেছে ছ’টি জেলা থেকে। এই জেলাগুলি হল কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর।
দপ্তর সূত্রের খবর, এই চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হওয়ায় পরবর্তী কাজটা অনেকটাই সোজা হওয়ার কথা। কারণ, কীভাবে, কোন, কোন পদ্ধতিতে কয়েকশো বছরের পুরনো এই ভাইরাসঘটিত বিপজ্জনক রোগ মোকাবিলা করতে হবে, তা অনেকটা ছকে বাঁধা। কারা নজরদারি ও রাস্তায় নেমে কাজ করবেন— তাও নির্ধারিত। কঠিন হল, বছরভর একই গতিতে কাজ করা এবং সতর্ক থাকা।
দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সব দপ্তরকে নিয়ে বৈঠকে মমতা প্রত্যেকের কাজ আরও একবার মনে করিয়ে দেন। যেমন পূর্ত দপ্তরকে রাস্তার সমস্ত গর্ত দ্রুত বুজিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দপ্তরকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকায় পুকুর ও জলাশয়গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়া শুরু করতে। পচা খাল ও পুকুরে কচুরিপানা পরিষ্কার করতেও বলা হয়েছে। গ্রামেগঞ্জে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে কন্যাশ্রী মেয়েদেরও কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। তবে ওইদিনের বৈঠকে মমতা তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বিধাননগর কর্পোরেশনের কাজকর্ম নিয়ে। সাফ সাফ বলেন, সল্টলেকে এত মশা কেন? আপনারা করছেনটা কী?
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ ও জ্বর মোকাবিলায় কতটা গুছিয়ে রাজ্যওয়ারি প্রস্তুতি নেওয়া যায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৮ সালে তা করে দেখিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ছ’মাসের পরিশ্রমে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল বছরভর রোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা- ‘স্টেট ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্ল্যান, ২০১৮’। সেই বইও দপ্তরের হাতে রয়েছে। তাছাড়া, কোথায়, কোথায় আউটব্রেক বা স্থানীয় স্তরে জ্বর ছড়াচ্ছে, তা প্রতি মুহূর্তে জানতে ডেঙ্গু সফ্টওয়্যারও রয়েছে। যেসব জায়গায় জ্বরজারি বেশি হবে, সেসব জায়গাকে লাল সঙ্কেত দিয়ে ‘হাই রিস্ক’ বলে চিহ্নিত করার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। ফলে ডেঙ্গুর সঙ্গে যুদ্ধে নামার অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে হাতের কাছেই। তা নিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকেই যুদ্ধ শুরু করার বার্তা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।