শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরেই সড়কপথের পাশাপাশি জলপথকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। সেই মতো পরিকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে তৈরি হয়েছে বিশেষ সুরক্ষা বিধিও। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এক কর্তার দেওয়া তথ্য বলছে, গত আট বছরে প্রায় ১০০টি জেটি নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এর বাইরেও বহু জেটি রয়েছে, যেগুলির নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। জলপথে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যের ২৭৯টি ফেরিঘাটে ৬২৬ জন জলসাথীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা লাভ করা পথদিশা অ্যাপের অধীনে আসতে শুরু করেছে এই ভেসেল। সেখানে জলযানের অবস্থানও জানা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই তিনটি ফেরিঘাটে ফ্ল্যাপ গেট বসানো হয়েছে। কাগজের টিকিটের পরিবর্তে টোকেন ও স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে যাত্রীরা পারাপার করছেন। বিপজ্জনক ভুটভুটির বদলে সুরক্ষিত জলযান নামাতে উৎসাহ দিচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। সেই সূত্রেই ৪০টি স্টিলের জলযান তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৬টি জলযান তৈরি করতে একেকটির খরচ হয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। বাকি চারটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে এক কোটি টাকা। ভেসেলগুলি চালাবে বিভিন্ন পুরসভা, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি।
নিগম সূত্রের খবর, যাত্রীদের সুবিধার্থে এক বগির দু’টি এসি ট্রাম তৈরি করা হয়েছে। যেগুলি নিয়মিত রুটে চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। নিগমের এক বগির দু’টি এসি ট্রাম রয়েছে। কিন্তু, সেগুলিকে নিয়মিত রুটে চালানো হয় না। মূলত ছুটির দিনে প্রমোদ ভ্রমণ বা কোনও অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়। সেদিক থেকে নয়া পরিকল্পনায় সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন নিগমের কর্তারা। এক কর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ে উত্তর কলকাতার দু’-একটি রুটে এসি ট্রাম চালানো হবে। আগামী দিনে আরও কয়েকটি এই ধরনের ট্রাম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে আরও কয়েকটি রুটে এসি ট্রাম চালানো সম্ভব হবে।
নিগম সূত্রের খবর, বর্তমানে রাস্তায় নানা সংস্থার কাজকর্মের জেরে রুটে ট্রামের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে কমবেশি ৪০ থেকে ৪৫টি ট্রাম চালানো হয়। কিন্তু নিগমের হাতে ট্রাম রয়েছে আড়াইশোরও বেশি। ভেসেল ও এসি ট্রামের পাশাপাশি ২৫টি নন-এসি মিডি বাসও কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তায় নামতে চলেছে বলে খবর। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আপাতত রুট নির্বাচনের কাজ চলছে। শীঘ্রই বাসগুলিকে রাস্তায় নামানো হবে।