শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
মতুয়া মহাসঙ্ঘের ডাকে আগামী ১৪ থেকে ১৯ মার্চ আগরপাড়ার উষুমপুরে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের প্রথম দিনে থাকবেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। এর কিছুদিন পরেই ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে বাৎসরিক মতুয়া মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সারা রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ওই মেলায় আসবেন। ওই মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যজ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাসকে। মেলায় আসা ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রশাসনের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে।
রাজ্যে মতুয়া জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় প্রচুর মতুয়া-ভক্ত থাকেন। তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের সমর্থন টানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। ঠাকুরনগর ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন ছাড়াও মতুয়াদের জন্য অনেক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়ারা সেটা ভালো করেই জানেন। বিজেপি মতুয়াদের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারবে না।
ঠাকুরবাড়ির সদস্য কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর ২০১৪ সালে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হন। কিছুদিন পর তাঁর মৃত্যু হলে ২০১৫ সালে উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হন তাঁর স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। ওই উপনির্বাচনে মমতাবালার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের ভাই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে সুব্রত ঠাকুর। মঞ্জুলবাবু ২০১১ সালে গাইঘাটা থেকে বিধানসভায় তৃণমূলের টিকিটে জিতে মন্ত্রী হন। কিন্তু তিনি কয়েক বছর পর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও মঞ্জুলবাবুর পুত্র।