সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
গত বছরের নভেম্বর মাসে কো-অর্ডিনেশন কমিটি বর্ধিত হারে ডিএ প্রদান সহ বিভিন্ন দাবিতে নবান্নে বিক্ষোভ দেখায়। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ সহ ১৫ জন পদাধিকারীকে কলকাতা সচিবালয়ের বিভিন্ন অফিস থেকে বদলি করা হয়। বিজয়শঙ্করবাবু সহ আটজন উত্তরবঙ্গে মূলত দার্জিলিং ও ডুয়ার্স এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বদলি হন। সাতজনকে বদলি করা হয় মুর্শিদাবাদে। পরবর্তীকালে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চারজনকে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়। এখনও পর্যন্ত কো-অর্ডিনেশন কমিটির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য বাণীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ বসু এবং ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে কলকাতার সচিবালয়ে ফেরানো হয়েছে। তবে তাঁরা আগে যে অফিসে কাজ করতেন, সেখানে ফেরানো হয়নি।
বিধানসভার গত অধিবেশন চলাকালীন কো-অর্ডিনেশন কমিটির এক প্রতিনিধিদল বিধানসভা ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে বকেয়া ডিএ প্রদান, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় ছাড়া পদাধিকারীদের বদলির প্রসঙ্গটি তোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বদলির বিষয়টি পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেন। এর আগে কেশরীনাথ ত্রিপাঠি রাজ্যপাল থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে স্মারকলিপি দিয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তৃণমূল কর্মী সংগঠনের কোর কমিটির সঙ্গে ১৫ দিন অন্তর অন্তর বৈঠক করছেন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম বৈঠকেই বদলি হওয়া নেতাদের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গটি উঠলে তা বিবেচনার আশ্বাস দেন শুভেন্দুবাবু। কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, তাঁদের বদলি হওয়া পদাধিকারীদের সবাইকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে ১৪ জন ফেরার পর সবশেষে তাঁকে ফেরানো হোক, এটাই তিনি চাইছেন।