কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
অ-রাসায়নিক পদ্ধতি হল, গোলা বা গুদামঘরে ইঁদুরের ঢোকার পথ তার বা জালি বসিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে। গুদামঘরে ইঁদুরের কোনও গর্ত থাকলে সিমেন্ট ও কাচের টুকরো দিয়ে বন্ধ করতে হবে। গুদামের পাশে পুরনো বীজ, খাবারের অবশিষ্টাংশ ফেলা যাবে না। ইঁদুর তা সত্ত্বেও গুদামঘরে ঢুকলে যান্ত্রিক ফাঁদের সাহায্যে ধরে মেরে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে বিড়ালের সাহায্য নিয়ে জৈবিক উপায়ে ইঁদুর দমন করতে হবে। তুলোর ছোট ছোট গুলি বানিয়ে মিষ্টির রসে ভিজিয়ে সেগুলি গর্তের বাইরে বা চলাচলের রাস্তায় দিয়ে দিতে হবে। ইঁদুর তুলোর গুলি খাবে এবং ওই তুলো শ্বাসযন্ত্রে আটকে গিয়ে মারা যাবে কিংবা আধমরা অবস্থায় পড়ে থাকবে। তার পর সেই ইঁদুরগুলিকে তুলে ফেলে দিতে হবে।
রাসায়নিক উপায়ে ইঁদুরের আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উপায় হল, জিঙ্ক ফসফাইড ঘটিত বিষ-টোপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। শস্যদানা গুঁড়ো ৯৬ ভাগ, ২ ভাগ ভোজ্যতেল, ২ ভাগ জিঙ্ক ফসফাইড গুঁড়ো মিশিয়ে বিষ-টোপ তৈরি করে নিতে হবে। এর পর ইঁদুর যাওয়া-আসার পথে লুকনো জায়গায় ওইসব টোপ রেখে দিতে হবে। তা হলে ইঁদুরের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ব্রোমাডাইওলোন ঘটিত কেক টোপ বাজারে পাওয়া যায়। ২০০ গ্রাম কেক ভাগ করে ২ ভাগ ইঁদুরের গর্তে ও চার ভাগ ইঁদুর চলাচলের রাস্তায় নারকেলের খোলের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে হবে। যাতে পশুপাখি না খেতে পারে। শুধুমাত্র ইঁদুরই খেতে পারে। কারণ, ইঁদুর লুকনো খাবার খেতে ভালোবাসে। এই কেক প্রয়োগে ২-৩ দিনের মধ্যে ইঁদুর মরতে শুরু করবে। এবং সাত দিনের মধ্যে টোপ খাওয়া ইঁদুর সব মারা পড়বে। এছাড়াও কলাগাছের খোলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এইসব পদ্ধতি কৃষকরা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে ইঁদুরের উপদ্রব কমানো সম্ভব হবে এবং কৃষক আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।