সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিন সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক বসেন মারুতি সুজুকি চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার প্রেসিডেন্ট (অটোমেটিক সেক্টর) রঞ্জন ওয়াধেরা সহ একাধিক শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার। সেই সঙ্গে যন্ত্রাংশ নির্মাণ শিল্পের সংগঠন এসআইএম, এসিএমএ এবং এফএডিএ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিও হাজির ছিলেন। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার কর্মকর্তা তথা এসআইএম-এর প্রেসিডেন্ট ওয়াধেরা বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সরকারের কাছে গাড়ির শিল্পের বর্তমান সঙ্কট তুলে ধরে হস্তক্ষেপের আর্জি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে জিএসটি কমানো সহ যন্ত্রাংশশিল্পকে ঘুরে দাঁড় করাতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে মন্ত্রীর কাছে।’ জানা গিয়েছে, সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা গাড়িশিল্পের উপর জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারকে। এর পাশিপাশি আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যাতে নিয়মকানুন খানিকটা শিথিল করে, সেই বিষয়টি নিয়েও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।
বেশ কয়েকমাস ধরেই মন্দা চলছে গাড়ির বাজারে। বিক্রির হার দ্রুত কমছে। মন্দার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে নির্মাণশিল্পে। একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এসআইএম’-এর তথ্যও বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সব ধরনের গাড়ি বিক্রি কমেছে ১২.৩৫ শতাংশ। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে গাড়িশিল্পে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিপর্যস্ত বাইক-বাণিজ্যও। ডিলাররা প্রতিনিয়ত কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হাঁটছেন। বাইক শিল্পেও কর্মহীনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে সংগঠনগুলির সুত্রের খবর। ওয়েধেরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গাড়িশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। আশাকরি, কর্মংস্থানের কথা মাথায় রেখে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।