সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জম্মু-কাশ্মীরগামী ট্রেন নিয়ে কথা হচ্ছিল শহরতলিতে রেলের এক বুকিং অফিসের আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, টিকিট বাতিল আর হচ্ছে কোথায়? পর্যটকরা ভূস্বর্গ ভ্রমণের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত। নতুন করে কেউ কেউ আবার টিকিটও কাটছেন। শহরতলির ওই বুকিং অফিসার যে ভুল কিছু বলেননি, তার প্রমাণ দিচ্ছে কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, হিমগিরি এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে আসন সংরক্ষণের চিত্রও। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের জন্য কলকাতা জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের স্লিপার এবং এসি থ্রি-টিয়ারে কোনও আসন খালি নেই। কোথাও চলছে ওয়েটিং, তো কোথাও আরএসি। একই চিত্র দেখা গিয়েছে হিমগিরি এক্সপ্রেসের এই দুই শ্রেণীর কোচগুলিতেও।
এবারে অক্টোবরের শুরু থেকেই দুর্গা পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩ অক্টোবর পুজোর পঞ্চমী। বুধবার বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই দিনের কলকাতা জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসে ওয়েটিং ৩৭। তার পরের দিনের ট্রেনটির স্লিপারে ওয়েটিং ৮৩। ৫ অক্টোবর ট্রেনটির স্লিপারে ওয়েটিং ৯৫। এসি থ্রি-টিয়ারেও পুজোর দিনগুলিতে ওয়েটিং রয়েছে। ৪ অক্টোবরের হিমগিরি এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসে ওয়েটিং ১৩৯। এসি থ্রি-টিয়ারে ওয়েটিং ৭০। বাকি দিনগুলির অবস্থাও মোটের উপরে এক।
ট্যুর অপারেটরদের একাংশের দাবি, ভূস্বর্গে সাম্প্রতিক পালাবদলে পর্যটকদের একাংশ বুকিং বাতিল করছেন। যদিও তার প্রভাব সরাসরি রেলের বুকিংয়ে এখনও পড়েনি। আবার অপারেটরদেরই কেউ কেউ বলছেন অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য, আসলে পর্যটকদের অনেকে এখনই টিকিট বাতিলের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। এর পিছনে প্রধানত দু’টি কারণের কথা বলছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথমত, বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ইস্যু শুরু হয় চার মাস আগে থেকে। রাত থেকে লাইন দিয়ে পাওয়া সেই টিকিট এখন বাতিল করে দিলে নতুন করে পুজোর সময়ের কোনও ট্রেনের নিশ্চিত টিকিট পাওয়া কার্যত যাবে না। আর, তার জন্যই এখনই টিকিট বাতিলের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পর্যটকদের অনেকে। দ্বিতীয়ত, জম্মু কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ভূস্বর্গের পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে বলে আশায় রয়েছেন অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ‘ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’-এর সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলেন, পর্যটকরা দোলাচলে থাকলেও এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না অনেকেই। তাঁরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। কারণ, এখন টিকিট বাতিল করে দিলে নতুন করে পুজোর সময়ের নিয়মিত ট্রেনে টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এসবের জেরেই ট্রেনের টিকিট তেমনভাবে বাতিল হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
রেল সূত্রের খবর, যেভাবে পুজোর সময়ের দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে আগামী দিনে বিভিন্ন গন্তব্যে ‘পুজো স্পেশাল’ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।