ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
ম্যাঞ্চেস্টার: তিনি জাল কাঁপালে দল জেতে। না হলে শুকনো মুখে ড্রেসিং-রুমে ফিরতে হয়। ওল্ড ট্রাফোর্ডের আনাচেকানাচে কান পাতলে এরকমই শোনা যায়। তিনি অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গত সেপ্টেম্বরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তন হয় সিআরসেভেনের। তারপর সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সাতটি ম্যাচে জিতেছে দল। প্রতি ম্যাচেই জয়ের কারিগর পর্তুগিজ মহাতারকাটি। বৃহস্পতিবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে তাঁর জোড়া গোলে ভর করে আর্সেনালকে হারাল ম্যান ইউ। পিছিয়ে পড়া দলকে কীভাবে চাগিয়ে তুলতে হয় তার আদর্শ দৃষ্টান্ত ফের স্থাপন করলেন রোনাল্ডো। শেষ ম্যাচ জেতার আনন্দ তাই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মাইকেল ক্যারিকের চোখেমুখে। রোনাল্ডো ছাড়া ম্যান ইউয়ের অপর গোলদাতা ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। আর্সেনালের হয়ে জাল কাঁপিয়েছেন যথাক্রমে এমিলে স্মিথ রো ও মার্টিন ওডেগার্ড। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে ম্যান ইউ। আর দু’ধাপ এগিয়ে থাকা আর্সেনালের ঝুলিতে ১৪ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট।
প্রিমিয়ার লিগে গত ম্যাচে চেলসির বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন কোচ মাইকেল ক্যারিক। তবে বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ মহাতারকাকে শুরু থেকেই খেলান তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরও একবার শুরুটা ভালো হয়নি রেড ডেভিলসের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে স্মিথ রো’র গোলে লিড নেয় আর্সেনাল। ওডেগার্ডের ভাসানো কর্নার বিপন্মুক্ত করার মুহূর্তে সতীর্থ ফ্রেডের বুটের চাপে আঘাত পান ম্যান ইউ গোলরক্ষক ডি গিয়া। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান স্মিথ রো (১-০)। ম্যান ইউ ফুটবলাররা এই গোলের বিরুদ্ধে আবেদন জানালেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।
ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়তেই পাল্টা আক্রমণে ওঠেন রোনাল্ডোরা। প্রথমার্ধের শেষলগ্নে সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে দলকে সমতায় ফেরান ব্রুনো ফার্নান্ডেজ (১-১)। বিরতির পর এই চাপ ধরে রেখেই দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় ম্যান ইউ। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন রোনাল্ডো। মার্কাস র্যাশফোর্ডের পাস থেকে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি (২-১)। এই লক্ষ্যভেদের সঙ্গেসঙ্গে ‘৮০০’ ক্লাবের সদস্য হলেন তিনি। ফিফার রেকর্ড অনুযায়ী, চেক প্রজাতন্ত্রের কিংবদন্তি জোসেফ বিকানের আট শতাধিক গোল রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে প্রীতি ম্যাচের গোলসংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত।
ফেরা যাক ম্যাচে। পিছিয়ে পড়ার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সমতায় ফেরে আর্সেনাল। মার্তিনেল্লির এরিয়াল পাস থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি ওডেগার্ডের (২-২)। ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় ম্যান ইউ। বল দখলের লড়াইয়ে ফ্রেডকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ওডেগার্ড। ভারের সাহায্য নিয়ে স্পটকিকের নির্দেশ দেন রেফারি। যা থেকে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি সিআরসেভেনের (৩-২)। ম্যাচের পর রোনাল্ডো বলেন, ‘ফুটবলার মাইকেল ক্যারিক সম্পর্কে সকলেই অবগত। কোচ হিসেবেও ও তুলনাহীন। সতীর্থ হিসেবে মাইকেলের সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। ম্যানেজার পদেও ওর অবদান অনেক।’ পাশাপাশি দলের জয় নিয়ে সিআরসেভেনের মন্তব্য, ‘এই ফল এখন অতীত। পরের ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। জয়ে ফেরাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে এখনও অনেক পথ চলা বাকি।’