নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডুরান্ড কাপ সেমি-ফাইনালে ওঠা চারটি দলের কোচের মধ্যে তিনিই উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল ও গোকুলাম এফসি’র দায়িত্বে রয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। রিয়াল কাশ্মীরের প্রশিক্ষক ডেভিড রবার্টসন অবশ্য স্কটল্যান্ডের। দলকে লং বল গেম খেলাতেই তিনি পছন্দ করেন। তবে পাসিং ফুটবল নিয়ে তাঁর কোনও ছুৎমার্গ নেই। ‘শুধু ফুটবলে নয়, যে কোনও খেলায় জয়ই শেষ কথা। তা যে কোনও পথেই আসুক না কেন। আমি জানি, কোন ফুটবলার কতটা আমার দর্শনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। প্রত্যেক কোচেই নিজস্ব ধ্যানধারণা রয়েছে। সেই পথেই তিনি দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। আমিও একই পথের পথিক। ডুরান্ড কাপ আমাদের কাছে প্রাক-মরশুম প্রস্তুতির মতো। ভেবেছিলাম, গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের পরেই মুম্বই চলে যাব। কিন্তু এখন সেমি-ফাইনালে উঠে ফুটবলারদের পাখির চোখ কাপের দিকে। আমাদের উপর কোনও চাপ নেই। কলকাতা ছেড়ে মুম্বইয়ে সপ্তাহ দুয়েক অনুশীলন করব। তারপর ভারতে হোক বা অন্য দেশে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। নভেম্বরে শুরু হচ্ছে আই লিগ। তারজন্য দল তৈরি করে রাখতে হবে’-- ঝরঝরে ইংরেজিতে বলে ফেললেন রবার্টসন।
তাঁর হাত ধরেই গতবার আই লিগে সাড়া ফেলে দিয়েছিল রিয়াল কাশ্মীর। কলকাতায় এসে পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছিল দুই প্রধানেরই। সেই আত্মবিশ্বাস সঙ্গে নিয়েই বুধবার সন্ধ্যায় যুবভারতীতে মোহন বাগানের মুখোমুখি হচ্ছেন লাভডে-বাজি আর্মান্দরা। অনুশীলন দেখে মনে হল, ফিজিক্যাল ফুটবল খেলেই ডুরান্ড ফাইনালে উঠতে চাইছে রিয়াল কাশ্মীর। এই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ রবার্টসনের বিশ্লেষণ, ‘এই মরশুমে মোহন বাগানের খেলা দেখিনি। তবে এটা জানি, এবার সবুজ-মেরুন দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বুধবারের প্রতিপক্ষকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ মোহন বাগানকে হারানোর জন্য উইং প্লে’ই ভরসা রিয়াল কাশ্মীরের। চেস্টারপল লিংডো, সুভাষ সিংয়ের সঙ্গে স্ট্রাইকার দানিশ ফারুকের বোঝাপড়া বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছিলেন কোচ রবার্টসন। মোহন বাগানের খেলা না দেখলেও ভিকুনা-ব্রিগেডকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলার জন্য প্রস্তুত।