বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এবিষয়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রামাণ্য নথি দেওয়া হয়নি। অভিযোগকারীকে সেই তথ্যগুলি সংযুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। কেউ তো তদন্তের ঊর্ধ্বে নয়। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে কিছু নথি দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় ও হুড়া ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাত ও হুড়া ব্লকের কোষাধ্যক্ষ তথা স্টোরকিপার অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় এবিষয়ে বিডিওর বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা দু’টি অভিযোগ করেছেন। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, হুড়ার বিডিও একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তিনি প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি ব্যক্তিগত সামগ্রী কিনেছেন সরকারি বিল দিয়ে। দু’মাসে তেলের বিল তুলেছেন প্রায় সাড়ে ৪লক্ষ টাকার বেশি। পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার বিষয়ে কোনও হদিশ নেই। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একটি সংস্থার কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করে বিডিও ব্যক্তিগত সামগ্রী কিনেছেন বলে অভিযোগ। দুর্নীতির কাজে বিডিওর সঙ্গে তাঁর গাড়ির চালকও জড়িত। চালককে একাধিকবার সরাতে বলা হলেও তিনি শোনেননি। বিডিওর এধরনের কাজ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একাধিকবার বিডিওকে এবিষয়ে সাবধান করা হলেও তিনি কোনও কথা শোনেননি। তাই অনিয়ম এবং দুর্নীতি রুখতেই অভিযোগ করা হয়েছে। জেলাশাসক যে নথি জমা দেওয়ার কথা বলেছেন সেই নথিও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এবিষয়ে হুড়া ব্লকের ক্যাশিয়ার অনিরুদ্ধবাবু বলেন, বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করতে বাধ্য করেছেন বিডিও। প্রায় ৮ হাজার টাকা কিলোগ্রামের চা, ৩০টির বেশি মোবাইল কিনেছেন। ওই মোবাইল কাকে দিয়েছেন কেউ জানে না। বিডিও নিজেই প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের মোবাইল, প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব ছাড়াও ক্যামেরা, ঘড়ি সহ প্রচুর ব্যক্তিগত সামগ্রী কিনেছেন। আমাকেও প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা দামের একটি ঘড়ি দিয়েছেন। ওই ঘড়ি নিতে চাইনি। বিডিও জোর করে দিয়েছেন।
তাঁর আরও অভিযোগ, সরকারি সামগ্রী সরবরাহকারী একটি সংস্থার কাছে ব্যক্তিগত সামগ্রী কিনে ভুয়ো সরকারি বিল তৈরি করিয়েছেন বিডিও। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো বিল দিয়ে বিডিও নগদ টাকাও তুলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিডিওর ওই কাজে সাহায্য করার প্রসঙ্গে অনিরুদ্ধবাবু বলেন, বিডিও জোর করে ভয় দেখিয়ে এসব বিল তৈরি করতে বাধ্য করত।
এছাড়াও ওই ক্যাশিয়ার তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিডিও একাধিকবার নিজের আত্মীয়দের হোটেলে থাকার বিলও মিটিয়েছেন সরকারি টাকা থেকে। এছাড়াও একাধিক কাজ টেন্ডার ছাড়া করিয়েছেন।
হুড়ার বিডিও শুভায়ু কাশ্যপিকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি শোনার পর বলেন, বাইরে রয়েছি। সেখান থেকে ফিরে এবিষয়ে বিস্তারিত সব বলব।