বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিভিন্ন দলের পতাকা নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। পরে প্রচুর মহিলাও শামিল হন। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সেখানে আগে থেকেই কান্দি থানার পুলিস ছিল। যদিও অশান্তি হয়নি, সন্ধ্যা নাগাদ বিক্ষোভ শেষ হয়।
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ছিল, বাংলা আবাস যোজনার ঘর তৈরি করে দেওয়ার নামে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। সেই কাটমানি ফেরত দিতে হবে। স্থানীয় জিয়াদারা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত হাজরা বলেন, প্রায় দেড়বছর আগে গ্রামের এক নেতা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৫হাজার টাকা নিয়েছে। সেই বাড়ি আজও তৈরি হল না। আবার টাকাও ফেরত দেওয়া হল না। টাকা চাইতে গেলে এবার বাড়ি হবে বলে বারবার ঘোরানো হচ্ছে। ওই গ্রামের ইন্দ্রজিৎ প্রধান বলেন, প্রায় দেড়বছর আগে ১০হাজার টাকা নিয়েছে। এবার আমি ওই টাকা ফেরত চাই। পলসি গ্রামের গৃহবধূ ছায়ারানি কোনাই বলেন, প্রায় দু’বছর আগে গ্রামের দুই নেতা বাড়ি বানিয়ে দেবে বলে ১০হাজার টাকা নিয়েছে। এমনকী আমার ঘর তৈরি হবে বলে মাটির ঘর ভেঙে দেওয়া করেছিল। ঘর না হওয়ায় আত্মীয়দের কাছে টাকা ধার নিয়ে বাড়ি তৈরি করে কোনওভাবে বাস করছি। একইভাবে উদয়চাঁদপুরের বাসিন্দা লেবাসান বেওয়া বলেন, দু’বছর আগে ঘর দেবে বলে ১০হাজার টাকা নিয়েছিল, কিন্তু ঘর দেয়নি। একই বক্তব্য ওই গ্রামের কাপুড়া বিবির।
এদিন প্রায় ২০জন বাসিন্দা ঘর তৈরি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন। আবার অনেকে টাকা নিয়ে শৌচাগার না করারও অভিযোগ করেন। এক্ষেত্রে বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে এই এলাকার অনেক নেতা তাঁদের কাছে থেকে ৩২০০টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের শৌচাগার আজও তৈরি হয়নি।
এদিকে এদিনের বিক্ষোভের শেষের দিকে ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। যদিও স্মারকলিপি গ্রহণ করেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিসকুমার মণ্ডল। এদিনের ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা নাজমুল হোসেন বলেন, এই এলাকার প্রচুর মানুষ কাটমানিকাণ্ডে ভুক্তভোগী। আমরা চাই অবিলম্বে ভুক্তভোগীদের কাটমানি ফেরত দেওয়া হোক। এদিন আমরা আরও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি পঞ্চায়েত প্রধানকে। যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, এদিন কাটমানি নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছেন আমরা তার উত্তরও দিয়েছি। কেউ যদি সঠিকভাবে প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও কাটমানি নিয়ে কীভাবে অভিযোগ করা যায় সেই প্রক্রিয়াও বিক্ষোভকারীদের বলে দেওয়া হয়েছে।