বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি ছিলেন বামদেব গুছাইত। কয়েকদিন আগে বামদেববাবুকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ইউসুফ আলি ওরফে কাজল। এদিন সকালে কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়ে এই দুই নেতার ছবি সহ ফ্লেক্স মেচেদায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তার রেলিংয়ে ঝুলতে দেখা যায়। পোস্টারগুলিতে লেখা হয়েছে, কেন্দ্র সরকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জেলার বেকার অসহায় যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। সেই টাকা অবিলম্বে ফেরত চাই, না হলে আমাদের চাকরি দেওয়া হোক।
বামদেব গুছাইত বলেন, এমন অভিযোগের পোস্টার হাস্যকর। কারণ, ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি একজনকেও চাকরি দিতে পারিনি। এখন ক্ষমতায় না থেকে কী করে আমি চাকরি দেব। দলের একাংশ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এইসব করছে। কিন্তু, মানুষ আমাকে চেনে। তাঁরাই এই অভিযোগের জবাব দেবে। ইউসুফ আলি বলেন, খুব শীঘ্রই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা চলছে। ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব আমাকে দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি যাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে বিজেপি করতে না পারি তার জন্যই রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই পোস্টার পড়েছে। বিজেপি মোর্চা নামে আমাদের কোনও শাখা সংগঠন নেই। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ওনাদের কাটমানি ফেরাতে বলেছেন। এখন কে কত কাটমানি খেয়েছেন সেই হিসেব করতে বসেই নিজেরা গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই ওদের নিজেদের দুই গোষ্ঠী পোস্টার ও পাল্টা পোস্টারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।