বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন খুলে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা যেমন হ্যান্ড গ্রেনেড ছোঁড়েন, তেমনই প্রশিক্ষিত পুলিস কর্মীরা এসব গ্রেনেড ছুঁড়বেন। এরমধ্যে অন্যতম ডাই মার্কার গ্রেনেড। যে গ্রেনেড কোনও ভিড় লক্ষ্য করে ছোঁড়ার পর ব্যাপক বিস্ফোরণ হবে। সেই বিস্ফোরণের পর সমস্ত এলাকায় রং ছড়িয়ে পড়বে। যে রং বিক্ষোভকারীদের জামা কিংবা শরীর থেকে সহজে উঠবে না। ফলে ঝামেলা চলাকালীন বা ঝামেলা মেটার পর পুলিস ওই রং দেখে সহজেই ব্যবস্থা নিতে পারবে।
স্ট্রিংগার গ্রেনেড ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের পাশাপাশি এক ধরনের ছোট ছোট প্লাস্টিক বল গুলির মতো সজোরে শরীরে এসে লাগবে। শরীরে লাগলে ভীমরুল বা বোলতা কামড়ানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হবে।
স্টান্ট গ্রেনেড ফাটালে ব্যাপক বিস্ফোরণ হবে। মূলত এই গ্রেনেডের তিন ধরনের কাজ। ব্যাপক আওয়াজ, গ্যাস ও চোখ ধাঁধানো আলো বের হবে। ওই বিস্ফোরণের আওয়াজ যেকোনও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে বাধ্য। তবে ক্যাপসিচিলি গ্রেনেডের কার্যকারিতা সবথেকে বেশি। এই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলে বডি স্প্রের ধাঁচে এক ধরনের স্প্রে ছড়িয়ে পড়বে। ওই স্প্রে গায়ে লাগলে শরীরে মারাত্মক জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, গলা বসে যাওয়া ও প্রচণ্ড কাশি হতে শুরু করবে। অচেতন হয়ে যেতেও পারে।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বন্দুকের মধ্যে ‘পাম্প অ্যাকশন গান’ দেওয়া হচ্ছে। যাতে পেপার কার্তুজ ভরা থাকবে। এই বন্দুকের ট্রিগার টিপলে পেপার কার্তুজের সামনে থাকা রাবার গুলির মতোই মানুষকে আঘাত করবে। যা কাউকে লাগলে গুরুতর জখম হলেও মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কম। এছাড়া ‘অ্যান্টি রায়ট গান’ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে প্লাস্টিক প্লেট থাকে। ফায়ারিংয়ের সময় প্লাস্টিক প্লেটের চারটি টুকরো হয়ে গুলির গতিতে বের হবে। ব্যাপক আওয়াজের পাশাপাশি প্লাস্টিকের টুকরো সরাসরি লাগলে গুরুতর জখম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া নতুন প্রযুক্তির ‘গ্যাস গানে’র মাধ্যমে শুধু গ্যাসের সেল নয়, রাবার বুলেটও ছোঁড়া যাবে। এই বন্দুক থেকে বের হওয়া রাবার বুলেট অনেক মোটা হয়। ফলে এর আঘাত অনেক বেশি।
‘মাল্টি ব্যারেল লঞ্চার’ থেকে একই সঙ্গে চারটি সেল বের হবে। তাতে গ্যাসের সেলের পাশাপাশি রাবার বুলেট ও বিভিন্ন ধরনের সেল ব্যাপক আওয়াজ করে বের হবে। এই বন্দুকের মাধ্যমে একসঙ্গে বা পরপর চারটি সেল ফাটানো যাবে। ‘মাল্টি সেল লঞ্চারের’ মাধ্যমে একই সঙ্গে ছ’টি সেল ফাটানো যাবে। একবার এই বন্ধুকের ট্রিগার টিপলে গ্যাস, রাবার বুলেট সহ মোট ৬টি সেল ফাটানো যাবে।
এছাড়া প্রত্যেক থানার পুলিসকর্মীদের জন্য ফুল বডি প্রোটেক্টর গড়ে ৮ থেকে ১০টি করে দেওয়া হয়েছে। যা আগে কেবলমাত্র র্যা ফকে দেওয়া হতো। উচ্চমানের ফাইবার দিয়ে তৈরি এই বড়ি প্রোটেক্টর যা ইট, পাথরের পাশাপাশি তিরকেও প্রতিহত করতে সক্ষম। এছাড়া পাঁচ থেকে ছয় ফুটের লম্বা লাঠি, পলি কার্বনেট লাঠি ও ঢাল, চেস্ট গার্ড, ক্রিকেট হেলমেট প্রতিটি থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি থানায় এসআই, এএসআই, কনস্টেবল, হোমগার্ড ও এনভিএফ কর্মীদের স্পেশাল ট্রেনিং দিয়ে অ্যান্টি রায়ট টিম তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারার পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।