বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
রেলের দাবি, জলাশয়গুলিতে মাছ চাষ করা হবে। তাতে অনেক বেকার যুবক স্বনির্ভরশীল হতে পারবেন। এই জল চাষের কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে একটি অনুষ্ঠানে ডিআরএম প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন, রেলের প্রচুর পরিমাণ জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই জমিগুলিতেই পুকুর খনন করা হচ্ছে। এছাড়া বনসৃজনও করা হচ্ছে। আসানসোল, অণ্ডাল সহ বিভিন্ন জায়গায় এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আসানসোলে শতাব্দী পার্ক সংস্কার করা হয়েছে। আগামীদিনে শহরে আরও কয়েকটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শহরের দোমোহানি রেল কলোনি এলাকায় ইতিমধ্যেই বড় জলাশয় খনন করা হয়েছে। এরকমই বিভিন্ন জায়গায় পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল ধরে রাখা হবে। প্রতিদিন রেলেও প্রচুর পরিমাণ জল দরকার হয়। বিশেষ করে প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার, ট্রেন সাফাই সহ আরও বহু কাজেই জলের প্রয়োজন রয়েছে। দরকার পড়লে এই পুকরগুলি থেকেও জল তুলে আনা হবে। প্রসঙ্গত, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে পানীয় জলের সঙ্কট দীর্ঘদিনের। প্রতিবারই গ্রীষ্মের সময় জল নিয়ে হাহাকার পড়ে যায়। এতদিন এই খনি অঞ্চলে জল সংরক্ষণের জন্য সেভাবে পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিগুলিতে জল জমে থাকত। কিন্তু, এবার থেকে রেল বড় জলাশয় খননের উদ্যোগ নেওয়ায় অনেকেই এই প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। আসানসোলের বাসিন্দা অসিতবরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেলের বহু জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেগুলি জবর দখলও হয়ে যাচ্ছে। ওই সমস্ত জায়গাগুলিতে পুকুর খনন হলে জেলার বাসিন্দারাই লাভবান হবেন। পুকুর থেকে জল তুলে চাষও করা যাবে। এছাড়া রেল পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য লিজ দেয়। এলাকার বেকার যুবকরা মাছ চাষ করে লাভবান হতে পারবে।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুকুর ছাড়াও ফাঁকা জমিগুলিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা হবে। এছাড়া শহরের মধ্যে থাকা ফাঁকা জমিগুলিতে ছোট ছোট পার্ক তৈরি করে এলাকার সৌন্দর্যায়নও বৃদ্ধি করা যাবে। আসানসোলের শতাব্দী পার্ক ইতিমধ্যেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পার্কের মধ্যে থাকা বড় জলাশয়টিও সংস্কার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিল্পাঞ্চলে এমনিতে পুকুরের সংখ্যা কম। তারপরেও যেখানে পুকুর রয়েছে সেগুলিও ভরাট হচ্ছে। বিশেষ করে আসানসোল, রানিগঞ্জ, অণ্ডাল ও দুর্গাপুর শহরে এই প্রবণতা বেশি রয়েছে। তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। তাই রেলের এই উদ্যোগে সকলেই খুশি।
ডিআরএম বলেন, আসানসোল থেকে খানা পর্যন্ত রেল লাইনের দু’পাশে প্রচুর পরিমাণ ফাঁকা জমি রয়েছে। সেগুলিতে পুকুর খনন করা হলে সবাই উপকৃত হবেন। আমরা ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এছাড়া আমাদের আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে। ফাঁকা জমিতে বৃক্ষরোপণ করা হবে। এই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক লক্ষ গাছ বিভিন্ন জায়গায় রোপণ করা হয়েছে। আগামীদিনেও প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানো হবে। পাশাপাশি আমরা রেলের পুরনো বিল্ডিংগুলিও সংস্কার করেছি। আসানসোলে অনেক ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং রয়েছে। সেগুলি সংস্কার করা হয়েছে। তবে এবার পুকুর খনন ও বৃক্ষরোপণের দিকে বেশি জোর দেব।