বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক বলেন, শিলিগুড়ির সমস্ত স্কুলের পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূর্ত দপ্তর কিংবা সর্বশিক্ষা মিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে স্কুলগুলি পরিদর্শন করা হবে। এব্যাপারে পূর্ত দপ্তর ও সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিকদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পরিকাঠামো চাঙ্গা করতে প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি কর্মশালা করা হবে। তাতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা থাকবেন। এ ব্যাপারে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। শিলিগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসারদের একাংশ অবশ্য বলেন, জেলাশাসকের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ ব্যাপারে নির্দেশ হাতে মেলার পর যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে সমস্ত সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার এ ব্যাপারে স্কুলগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প চাওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দমকল বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই প্রকল্প প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩৯৯টি। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও জুনিয়ার হাই স্কুলের সংখ্যা ১০৫টি। প্রতিটি স্কুলে মিড ডে-মিলের ব্যবস্থা থাকলেও আগুন নেভানোর সুব্যবস্থা নেই। স্কুলগুলিতে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তপন বসু বলেন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি স্কুলে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এব্যাপারে স্কুলগুলির কাছে বাজেট এস্টিমেট চাওয়া হয়েছে। তা পাওয়ার পর রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে। রাজ্য সরকার যা নির্দেশ দেবে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিলিগুড়িতে নিয়মিত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। তবে, বেসরকরি স্কুলগুলি আমাদের অধীনে নেই। এব্যাপারে জেলাশাসক যা নির্দেশ দেবেন, সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফুলবাড়ির এক আবাসিক স্কুলের তিনতলার শ্রেণিকক্ষের জানালার কাচ ভেঙে নীচে পড়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র ঋষভ আর্যের(১৫) মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে তার সহপাঠী ঋত্বিককুমার সিং। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। তারা জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে। শিলিগুড়ি শহর ও শহরতলী এলাকায় বেসরকারি স্কুলের সংখ্যাও অনেক রয়েছে। জলপাইগুড়ির মতো দার্জিলিং জেলা প্রশাসন স্কুলগুলির পরিকাঠামো যাচাই করতে উদ্যোগী হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুলেরই পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে।