বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
লোকসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হলেও সৌরভ ঘনিষ্ঠ জেলায় দলের পদাধিকারীরা অনেকেই এবারে নতুন জেলা কমিটিতে ঠাঁই পাননি। ফলে বুধবার রাতে কলকাতায় তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই দলের ভিতরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সৌরভ বিরোধী শিবিরের নেতারা নতুন কমিটির এবারের পদাধিকারীদের পেয়ে এখন খোশমেজাজে। দলের অনেকেই বলছেন, এবারে মন্ত্রী গৌতম দেবের অনুগামী নেতারাই জেলা কমিটিতে বেশি জায়গা পেয়েছেন। যদিও সৌরভবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে বহুবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, দলনেত্রী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। দলের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব।
গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসনে পরাজয়ের পর দলের জেলা সভাপতি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ডানা ছাঁটা হয়েছিল। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন সংসদ সদস্য তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মনকে। দলের বিপর্যয়ের পরেও জেলা সভাপতিকে জেলায় খুব একটা দেখা যাচ্ছিল না বলেই দলের নেতাদের অনেকেই আড়ালে আবডালে সমালোচনা শুরু করেছিলেন। পরে সৌরভবাবু কিছু কর্মী বৈঠক ও জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেও তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল জেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা অনেক নেতাই ছেড়ে দিয়েছেন। দলের অনেকেই সংগঠনের ছন্নছাড়া অবস্থার কথা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট করেন। সৌরভবাবু জেলা সভাপতি থাকলেও ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায় ও মন্ত্রী গৌতম দেব ঘনিষ্ঠ নেতা চন্দন ভৌমিককে দলের জেলার কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। খগেশ্বরবাবু জানিয়েছেন, বিজয় চন্দ্র বর্মন, অনন্ত দেব অধিকারী, বুলু চিক বরাইক, শুক্রা মুণ্ডা, মোহন বসু, যূথিকা রায় বসুনিয়াকে জেলা সহ সভাপতি করা হয়েছে। সৌরভ ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ আগে দলের জেলা সহ সভাপতি পদে থাকলেও এবারে নতুন কমিটিতে তাঁর নাম নেই।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর আলিপুরদুয়ারে মোহন নির্ভরতা কাটাতে এবার মৃদুল গোস্বামীকে দলের জেলা চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকিকে জেলা কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। জেলা সহ সভাপতি করা হয়েছে মৃদুল ঘনিষ্ঠ ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী, কুমারগ্রামের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী জেমস কুজুর, সুরেশ চন্দ্র রায়, তুষার চক্রবর্তী ও আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্তকে। জেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী, সঞ্জীব চক্রবর্তী ও বাপ্পা মজুমদারকে। নতুন এই কমিটিতে মৃদুল ঘনিষ্ঠদের সংখ্যাই বেশি।
দলের জন্মলগ্নের সময় মৃদুলবাবু তিন দফায় দলের অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলারও সভাপতি ছিলেন। মৃদুলবাবু বলেন, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সাধ্যমতো পালনের চেষ্টা করব। কারও উপর নির্ভরতা কাটানোর কোন বিষয় নেই। দল সবাইকে সমানভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দলের কাজ চালিয়ে যাব।