বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিজেপি কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভাকে ঘিরে আমরা এদিন প্রস্তুতি বৈঠক করেছি। বিজেপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটায় প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়েছে। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংযোজক ভূপেন দত্ত বলেন, আদি ও নব্য কোনও বিরোধ দলের মধ্যে নেই। রাজ্য সভাপতির বৈঠকে সকলেই থাকবেন। তাই ওই সভা পরিচালনার জন্য এদিন ১৫ জনের একটি কমিটি গড়া হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সিতাইতে ধরাশায়ী হয়। একদা নিশীথ প্রামাণিক ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল সমর্থকরা নাম লেখায় বিজেপি শিবিরে। কার্যত নব্য বিজেপির দাপটে ঘরছাড়া হন সিতাইয়ের তৃণমূলের বিধায়ক সহ নেতাকর্মীদের একাংশ। দীর্ঘদিন বাদে সিতাই দখল হলেও আদি বিজেপির সঙ্গে নব্য বিজেপির লড়াই ও বিরোধ শুরু হয়। কার্যত সিতাই নব্য বিজেপিদের দখলে চলে যায়। এলাকা দখল রাখতে আদি বিজেপিদের উপর নব্যরা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আদি বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায়কে খুন করার চেষ্টা নব্যরা করেছিল বলে অভিযোগ সামনে আসে। সেসময় দলের জেলা কমিটির একটি দল সিতাই গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে আসে। আদি নব্যদের লড়াইয়ে সম্প্রতি গুলি, বোমাও চলেছিল। বাড়িঘর ভাঙচুরও হয়েছিল। তবুও নব্যদেব বাড়বাড়ন্ত কমানো যাচ্ছিল না। কার্যত তাঁদের হাতেই ক্ষমতার রাশ চলে যায়। বারবার জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও আদিরা ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে যায়। সংঘ নেতাদের কানেও বিষয়টি জানানো হয়। সম্প্রতি সিতাইতে তৃণমূলের বিধায়কের কাছ থেকে কাটমানি ফেরতের দাবিতে নব্যরা মিছিল করে সেখানে তাদের শক্তি প্রমাণ করে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দুর্বল থাকায় সব সময় ব্যাকফুটে থাকতে হয় পুরনোদের। কিন্তু সংঘের নেতাদের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে বারবার উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্বকে জানানো হয়।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু শনিবার কোচবিহারে আসছেন। তিনি শীতলকুচি হয়ে সিতাইতে যাবেন। সেখান থেকে দিনহাটায় সভা করে ফের কোচবিহারে ফিরবেন। যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয় সেটা মাথায় রেখেই দলের এই পরিকল্পনা। সম্প্রতি দিনহাটায় বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে শাসক দলের হাতে শীতলকুচিতে আক্রান্ত হয়েছে বিজেপি। তবে সিতাইয়ে নিজেদের হাতে নিজেরাই আক্রান্ত হন গেরুয়া বাহিনী। আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে এসে সিতাইয়ে আদি কর্মীরা যাতে নব্যদের বিষয়ে রাজ্য সভাপতিকে অভিযোগ না করে সেবিষয়ে তৎপর হয়েছে বিজেপি।
আদি ও নব্যদের বিরোধ মেটাতে এদিন সিতাইয়ের চৌরঙ্গী ক্লাবে বৈঠক করা হয়। সেখানে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিরা সহ নব্যদেরও ডাকা হয়। তামাকহাটির মাঠে দিলীপ ঘোষের সভা হবে বলে ঠিক হয়েছে। দলের একাংশের দাবি, আদিরা যতই নব্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক না কেন রাজ্য সভাপতির সভা সফল করার মত সাংগঠনিক শক্তি তাদের নেই। নব্যদের বাদ দিয়ে আদিদের নিয়ে সভা করার চেষ্টা হলে অন্তর্ঘাতের শঙ্কা থাকছেই।