শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের একাধিক কার্যকর্তা প্রচার চালাচ্ছিলেন। দাবি ছিল, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার পরিকল্পনা নেবে। আসলে সেই সময় বিজেপির সব স্তরের নেতা ধরেই নিয়েছিলেন, গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা দখল করবে। কিন্তু তাঁদের সেই ‘বাড়া ভাতে ছাই’ পড়ার পরে এবার ঘুরপথে রাজ্য ভাঙার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন শাসক তৃণমূলের নেতারা।
গেরুয়া শিবিরের উত্তরবঙ্গের এক প্রবীণ নেতার কথায়, আমাদের পরিকল্পনা হল যতজন সাংসদ আছেন, তাঁদের নিয়ে এই ইস্যুতে আন্দোলন। রাজ্যের ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। চীন থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশ, যারা ভারতের সার্বভৌমত্বকে নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, তাদের রুখতে হবে। ওই দাবি সাংসদের মারফত প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
পাহাড়ের মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে আগেও বাংলা ভাগের কৌশল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার চলেছে ভোট হাসিলের খেলা। সেই প্রতিশ্রুতির অবশ্য ভরাডুবি হয়েছে। বাংলার মানুষও রাজ্য ভাগ চাননি। এই বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে দেওয়ার প্রচেষ্টা সংবিধান বিরোধী, গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর থ্রেট। আসলে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপি এই নয়া কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন শাসক দলের নেতা-জনপ্রতিনিধিরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘বাংলা একবার বিভাজিত হয়েছে। আর বাংলায় বিভাজন আমরা চাই না। পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত যাই দাবি উঠুক না কেন, রাজ্যের মানচিত্রের পরিবর্তন ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এই দাবি মানে তো রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা। এই বিচ্ছিন্ন হওয়ার রাজনীতি তৃণমূল সরকার কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংকে পাশে বসিয়ে বহুদিন আগেই তা ঘোষণা করে দিয়েছেন। আসলে বিজেপি একটা স্টেবল গভর্নমেন্টকে ডিসটার্ব করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রেখেছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নিয়ে তা ভাঙার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। মানুষ তা করতে দেবে না।’