শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৮ জুন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি। সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে নবান্নের শীর্ষস্তরে। এর মাঝে ওই ন’টি সংস্থার বিল বাবদ প্রায় ৩০ কোটি টাকার রিলিজ অর্ডার আটকে দিয়েছেন দপ্তরের নতুন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তদন্ত রিপোর্টকে যদি সংস্থাগুলি ‘ক্লিনচিট’ পায়, তবেই মিলবে টাকা। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পরবর্তী পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসন নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বাঁধ মেরামত ও সংস্কার নিয়ে সেচ দপ্তরের একশ্রেণীর আধিকারিককে দুষেছেন, তেমনই বনদপ্তরের ম্যানগ্রোভ সহ অন্যান্য বনসৃজন প্রকল্প নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই উষ্মাকে ভিত্তি করেই বনদপ্তরের সবক্ষেত্রে কড়া নজরদারি শুরু করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে চারাগাছ সরবরাহ নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে যে সংস্থাগুলিকে বাছাই করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার এহেন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। কীভাবে, কে বা কারা তাদের এ. ‘সুযোগ’ করে দিল, তদন্তে জোর দেওয়া হয়েছে তার উপরেও। চারাগাছ সরবরাহ নিয়ে এই অনিয়ম সামনে আসার পরেই বনদপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ই-প্রসেসিং এবং ই-টেন্ডার ছাড়া কোনও সংস্থার কাছ থেকে কোনও কিছু নেওয়া হবে না। চারাগাছ সরবরাহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বড় নার্শারির অধিকারী হতেই হবে। না হলে, কোনও সংস্থা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। একইসঙ্গে বনদপ্তর ঠিক করেছে, বাংলা, হিন্দি, নেপালি ও উর্দু ভাষার সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি এবার থেকে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, উম-পুনের ধাক্কায় ভেঙে পড়া প্রায় ৮০০ কোটি টাকার গাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বনদপ্তর। গোটা রাজ্যে দপ্তরের প্রায় ৫০০টি ডিপোয় পড়ে রয়েছে ভেঙে পড়া শাল, সেগুন, মেহগনি, শাল আর লম্বুর মতো গাছের কাঠ। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে কিছু কিছু কাঠ বিক্রি হলেও, দক্ষিণবঙ্গে কার্যত অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বনদপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার ই-অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে ওই কাঠ। ছুটির দিন এবং শনি-রবি বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং ২টো থেকে চারটে পর্যন্ত চলবে ওই অকশন।