শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
গত মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর একটি অনলাইন বৈঠককে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ওইদিন করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ও অন্যান্য কাজকর্ম কীভাবে চলবে তানিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের শুরু থেকেই উপাচার্য অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন ইস্যুতে যে সব অধ্যাপক-অধ্যাপিকা বিভিন্ন সময় ই-মেল করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া সংস্কার নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন উপাচার্য। এসময় অধ্যাপকদের সংগঠন নিয়ে মানসবাবুর কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করায় তাঁকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে বলতে শোনা যায় উপাচার্যকে। অধ্যাপক মাইতি রাজি না হওয়ায় তাঁর লাইন ডিসকানেক্ট করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তাঁর মানহানি হয়েছে বলে শুক্রবার ই-মেল করে শান্তিনিকেতন থানায় এফআইআর দায়ের করেন মানসবাবু। পরের দিনই উপাচার্যের সঙ্গে অভব্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার অভিযোগ এনে অধ্যাপক মাইতিকে শোকজ করলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো। তাঁকে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হলেও রবিবারই শোকজের উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে মানসবাবু জানান। তবে এ বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কছে মুখ খুলতে চাননি।
এই শোকজ সম্পর্কে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিইউএফএ একটি বিবৃতি দিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিষয়টি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছে। এনিয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।