শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
উল্লেখ্য, চীনা নাগরিক হানের বিরুদ্ধে আগেই ভারত সরকার সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ‘ব্লু কর্নার’ নোটিশ’ জারি হয়েছিল। সেই কারণে এদেশের ভিসা পেতে তার অসুবিধা হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে সে ভারতে ঢোকার মরিয়া চেষ্টা করেছিল। ভারতে ঢুকে সে আত্মসমর্পণ করত বলে হান পুলিসের কাছে দাবি করেছে। যদিও ওই চীনা নাগরিকের ওই ছেঁদো যুক্তি তদন্তকারী আধিকারিকরা মানতে পারছেন না। কারণ কোনও বিদেশি নাগরিক ভারতের আইন ও বিচারব্যবস্থার সামনে দাঁড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিদেশ দপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। তারজন্য বিপদসঙ্কুল সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢোকার কোনও প্রয়োজন নেই। পুলিস এবং গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন, মালদহ থেকে ট্রেনে দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজেই পৌঁছানো যায়। মালদহ টাউন স্টেশন থেকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিভিন্ন দিকে যাওয়ার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। যা সব জেলায় থাকে না। তাছাড়া মালদহ টাউন স্টেশন থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দূরত্ব খুবই কম। ইংলিশবাজার সদর ব্লকেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ফলে চীনাদের কাছে মালদহ সীমান্ত অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়েছিল।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ধৃত চীনা নাগরিক নিজেকে ব্যবসায়ী বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে কেন সে হাজার হাজার ভারতীয় সিম কার্ড চীনে পাচার করেছে সেব্যাপারে কিছু বলতে চাইছে না। এদেশে ধৃত চীনা নাগরিকের ডেরা রয়েছে। যেনতেন কারণে সে তার নিজের ডেরায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। একবার সেখানে আত্মগোপন করতে পারলে তাকে ধরা মুশকিল হতো। কারণ সরকারের খাতায় সে বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছে বলে নথিবদ্ধ ছিল। এমনকি উত্তরপ্রদেশে ধৃত হানের সাগরেদও পুলিসের কাছে এই ‘বন্ধু’র দেশে ঢোকার তথ্য দিতে পারত না। কারণ সে ধরা পড়ার পর হান এদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। ফলে তাকে দেশের মধ্যে খোঁজার কোনও চেষ্টা হতো না। সে তখন বহাল তবিয়েতে এদেশে বসে অন্য সাগরেদদের বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকানোর ছক কষত। ধৃতকে আগামী ছ’দিন ধরে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। তাতে অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে ওই তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন।